Shadow

ডিমলায় ঘর বাড়ি কেড়ে নিল সর্বগ্রাসী নদী।

মোঃমশিয়ার রহমান, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান ডাঙ্গা পাড়ার মানুষ হেরে যাচ্ছে সর্বনাশা নদীর কাছে। শত মানুষের বসবাস এই নদীর ধারে।

বর্ষা বা বসন্ত নেই একটু সুযোগ পেলেই তছনছ করে দেয় সাদাসিধে মানুষের বাড়িঘর। চরাঞ্চলে বা নদীর পাশে যারা মাথা গোজার ঠাই করে বসে তাদেরই জীবন হয়ে উঠে ভয়ংকর।

এইসব এলাকায় যাদের বাস তারা নিতান্তই দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। কোন রকমে দিন আনে দিন খায়। অত্যন্ত কষ্ট করে কোনমতে খাবারটুকু জোগার হলে ও নেই তাদের রাতের ঘুমের শান্তি।

কখন যে কিরুপ ধারণ করে বসে পড়ে এই ছলনাময়ী কল্পনাময়ী ও বহুরুপী ভোগবিলাসী নদী। বারংবার আচমকার মত আসে রাক্ষসী ঢেউ। সেই ঢেউয়ে ভেসে চলে যাওয়া জনজীবন বিপর্যস্ত।

কোথাও কোন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মত আজও মিল্লনা এই গ্রামে। সারা দেশে অসংখ্য নদ নদীর মাধ্যমে খতি গ্রন্থ পরিবারের মাঝে দেখা গেছে অনেক সহযোগিতা পেয়েছে।

কিন্তু দু:খের বিষয় হলেও সত্য ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে উপজেলা ইউ এন ও মহোদয় ও এছিল্যান্ড সহ নীলফামারী জেলা পর্যন্ত অনেক আবেদন করে ও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।

উক্ত গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর বজলুর রহমান লেলিন সহ আরও অনেকে ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন আমরা কখনো কারো কোন সহযোগিতা পাইনি। দিন দিন নদীর ভঙ্গন বৃদ্ধি হচ্ছে। সুদৃষ্টি দিয়ে দেখার কেউ নাই।

শুধু ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যদি নদীর ধারে একটু বাধের ব্যবস্থা করা হতো তাহলে আমাদের দু:খ কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হত।

আ:জলিল সহ আরো কত পরিবার নদীর কাছে হার মেনে বাড়ি ঘর অন্য যায়গায় নিতে বাধ্য হয়েছে।তাই শাতজান ডাঙ্গা পাড়ায় নদীর ধারে বাধের ব্যবস্থা করে গ্রামের উন্নয়নে জনজীবন রক্ষার জন্য উর্ধতন মহলের প্রতি নেকদৃষ্টি কামনা করছি।