Shadow

তজুমদ্দিনে পরকীয়া ধরা পড়ায় গৃহবধুর আত্মহত্যা

ভোলা প্রতিনিধি  : ভোলার তজুমদ্দিনে পরকীয়া প্রেম হাতেনাতে ধরা পড়ায় লোকলজ্জার ভয়ে হিন্দু প্রবাসির স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করেন। এ সময় এলাকাবাসী প্রেমিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের উত্তর কালাশা ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উমেষ চন্দ্র দাসের মেয়ে ও চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসি পরেশ চন্দ্র দাসের স্ত্রী এক সন্তানের জননী জিকু রাণী দাসের (৩০) সাথে একই এলাকার শান্তিরঞ্জণ পালের ছেলে দিপংকর চন্দ্র পালের (৩২) পরকীয় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দিপংকর পেশায় একজন ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী ও শায়েস্তাকান্দি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্বামী প্রায় ২ বছর বিদেশ থাকায় পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন স্ত্রী জিকু রাণী দাস। নিহত জিকু রাণী দাসের পরশী নামের ছয় বছরের একটি কন্যা শিশু রয়েছে। পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কারণে দিপংকর প্রায় রাতে জিকু রাণীর বাসায় আসা যাওয়া করত। এলাকাবাসী বার বার ওই বাসায় আসতে দিপংকরকে নিষেধ করলেও তিনি তা শুনেননি। স্বামী প্রবাসী হওয়ায় জিকু রাণী দাস চরফ্যাশনে তার স্বামীর বাড়িতে না থেকে তজুমদ্দিনে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। গতকাল ১৮ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মোবাইল ফোনে কথা বলে জিকু রাণী দাস রান্ন ঘরের দরজা খুলে দিলে দিপংকর চন্দ্র পাল তার ঘরে ডুকে পড়েন। একপর্যায়ে এলাকাবসী বিষয়টি টের পেয়ে ঘরের চারপাশ ঘিরে ফেলে ডাক-চিৎকার দেয়। এ সময় দিপংকর ঘরের দরজা খুলে পালানোর চেষ্টা করলে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান। পরে দিপংকর যাতে পালাতে না পারে এলাকার লোকজন তাকে বেধে রাখে। রাত ৩টার সময় জিকু রাণী দাস ঘরের মধ্য থেকে তার মাকে বের করে দেয়। লোকলজ্জার ভয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে রুমে ফ্যানের সাথে ওড়না লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে। পরে তার বাবা-মার চিৎকারে লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গে লাশ নামায়। সকালে দিপংকরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত জিকু রাণী দাসের পিতা উমেশ চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের জানান, জিকুর সাথে সম্পর্কের সুবাদে দিপংকর বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ধার নেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শাহিন মন্ডল জানান, এ ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামী একজন গ্রেপ্তার রয়েছে এবং নিহতের ময়না তদন্তের জন্য লাশ ভোলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *