Shadow

তিস্তার চর অঞ্চলে সরিষা বাম্পার ফলন।

নীলফামারী প্রতিনিধি। নীলফামারীতে তিস্তা নদীতে পানি শুকিয়ে যাওয়া জমে থাকা পলিতে তামাকের পরিবর্তে শাক সবজি, ভুট্টা ও পাটের পাশাপশি সরিষার আবাদে গুরুত্ব দিয়েছে কৃষকরা। সরিষার ক্ষেতে ফুলেফুলে মন জুড়ায়, যতদূরে চোখ যায়, শুধু হলুদের সমারোহ। কৃষকের জমিতে এই ফসল যেন, ফুলের বাগানে পরিনত হয়েছে সবুজ শ্যামল। উত্তরের জেলা নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী ইউনিয়ন গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারীর চর অঞ্চল গুলোতে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি তামাক চাষাবাদ করতো কৃষকরা। মানবদেহে ক্ষতিকারক তামাকের পরিবর্তে ওই কৃষকরা এবার সরিষাসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদের প্রতি উৎসাহিত হয়েছেন। আবহাওয়ার অনুকূলে থাকলে ফলন ভালই পাবেন বলে ধারনা করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে ২ হাজার হেক্টর জমিতে তামাকের চাষাবাদ করা হলে, এবারে তা নেমে এসেছে ১৭৫০ হেক্টরে এবং চলতি মৌসুমে উপজেলাটিতে ৫৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা আবাদের পাশাপাশি ১১১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করছে কৃষকরা। শুধু তিস্তার চরেই নয়, পৌরসভাসহ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নই সরিষার চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষকেরা। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইতিমধ্যে কৃষকের মন জুরানো ফসল সরিষার ফুল ঝরতে শুরু হয়েছে এবং কোনও কোন এলাকায় সরিষার দানা বাধতে শুরু করেছে। গুনগুন গান শব্দে শোনা যাচ্ছে মৌমাছির তিস্তার তীরবর্তী গোলমুন্ডা ইউনিয়নের কৃষক মমিনুর ইসলাম জানায়,যে ফসল মানবদেহের ক্ষতি করে, সে ফসল চাষাবাদ না করাই ভালো। তিনি বলেন, আমি বেশি লাভের আশায় তামাক চাষাবাদ করতাম। কিন্তু যখন জানতে পারলাম তামাক মৃত্যুর কারণ, তখন তামাকের পরিবর্তে সরিষার আবাদ শুরু করেছি। যা দেখেই মন জুড়িয়ে যায়। ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করছি ফলন ভালই হয়েছে। সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা এবার আশাতীত ফলন পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *