Shadow

দাপটের সাথেই দায়িত্বপালন করছে সেই কারারক্ষী সরল বাবু l

মীর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ॥ ভোলা কারাগারের হাজতি শাখার কারারক্ষী (অফিস সহকারী) সরল দেবনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। বন্দীদের জিম্মি করে প্রতি দিনই নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসন জানলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমনকি তার প্রতি উপর মহলের সুদৃষ্টি আছে বলে হুংকার দিয়ে দাপটের সাথে ভোলা কারাগারে দায়িত্ব পালন করছে।

জানা যায়, অফিসে হাজতি শাখায় দায়িত্বরত কারারক্ষি সরল বাবু বন্দীদের নানা অজুহাতে জিম্মি করে কারাগার থেকে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রতিনিয়ত তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়ছে কারাবন্দী ও বন্দীর স্বজনরা। সরল বাবুর অন্য জেলায় চাকরী করার কথা থাকলেও তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজ জেলায় দীর্ঘ বছর বহাল তবিয়তে চাকরী করছে। তবে নিজ জেলায় চাকরী করলেও নিজ এলাকার পরিচিত জনেরাও তার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। কারাগার থেকে মুক্তি পেতে হলে অন্যদের মতো তাকে টাকা দিয়েই মুক্তি পেতে হয়েছে।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে সরল বাবুর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও তার টনক নড়েনি। বরং সে সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছে যে, আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে লাভ নেই। আমার প্রতি উপর মহলের সুদৃষ্টি আছে। তাই নির্বিগ্নে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ কোন কিছুতেই তোয়াক্কা না করে জামিনপ্রাপ্ত বন্দীদের হয়রানি করে আসছে। প্রতি নিয়ত বন্দীদের বেলবন্ড কারাগারে পৌছলে নাম ঠিকানা ভুল হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে বন্দী ও স্বজনদের কাছ থেকে এক থেকে দুই হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে। আর হাই কোর্টের জামিন আদেশ (বেলবন্ড) এলেতো কথাই নেই। সেখানে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় তাকে। অন্যথায় পুনরায় হাই কোর্টে যাওয়ার ভয় দেখায়।

সরল বাবুর দুর্নীতির বিষয়ে জেল সুপার নাছির উদ্দিন প্রধানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয় তদন্ত করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *