Shadow

দৌলতখানে গাছ কাটতে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী


ভোলা প্রতিনিধিঃ-

দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মধুর বেপারী বাড়িতে গাছ কাটতে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে দৌলতখান থানায় মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তোভোগী জহুরুল ইসলাম নোবেল জানায়,একই বাড়ির চাচাতো ভাই মোকছেদ ও তার ভাই মনিরের সাথে দীর্ঘ তিন বছর ধরে ১৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জমির মালাকানা দাবী করলেও মোকছেদ ও মনিরের কাগজপত্র না থাকা সত্তেও তারা ওই জমি জবর জবর দখলের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ।একপর্যায়ে আমাকে ঘায়েল করতে মামলার পর মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে তারা। গত ৫/৬/২০১৮ ইং তারিখে মোকছেেদেরর ভাই মনির বাদী হয়ে আমাকে আসামী করে মারামারির একটি ঘটনা সাজিয়ে আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় তা খারিজ করে দিয়েছেন।
অপরদিকে একই ঘটনার বিপরীতে মোকছেদ আলমের ভাই মনিরের স্ত্রী শারমিন বেগমকে বাদি বানিয়ে তার পরদিন ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আমাকে আসামী করে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় জামিন নিয়ে নোবেল মামলাটি মিথ্যা দাবী করে বাতিলের আবেদন করেছেন ।যাহা শুনানীর জন্য অপেক্ষায় আছে।
এদিকে একের পর এক মামলা দিয়েও খ্যান্ত হয়নি মামলাবাজ মোকছেদ ও তার ভাই মনির। শুক্রবার ১২/৬/২০২০ ইং তারিখ সকাল ৭ টার সময়ে মোকছেদ তার নিজ বাড়ির পুকুর পারে বেশ কয়েকটি গাছ কাটতে গিয়ে হঠাৎ গাছের একটি ডাল তার মাথা পরে রক্তাক্ত জখম হয়ে আহত হয়েছে। অথচ ওই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে প্রতিপক্ষ নোবেলসহ কয়েজনেকে আসামী করে দৌলতখান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মোকছেদ । পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসলে জানাগেছে যে,মোকছেদ গাছের দূর্ঘটনার ঘটনা মারামারিতে পরিনত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

প্রতিবেশি ফজলে করিম জানায়,মোকছেদ সকালে তার বিভিন্ন প্রজাতের গাছ কেটেছে। এসময় কোন একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে তার মাথায় পরে রক্ত বের হয়েছে। সেখানে আজ শুক্রবার কোন মারামারির ঘটনাই ঘটেনি।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে মামলাবাজ মোকছেদ ও তার ভাই মনিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *