ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নে জমি বিক্রয়ের নামে উত্তর পূর্ব দক্ষিণ মাতাব্ব পারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিরিহ ব্যক্তির সাথে ভয়ঙ্কর প্রতিরণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মধ্য জয়নগর গ্রামের মৃতঃ আঃ আজিজ মুন্সীর ছেলে ভুক্তভোগি মোঃ শাহে আলম ( ৭৫ ) সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগে জানান,পাশবর্তী দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছিদ্দিক মাষ্টার ও তার মেয়ে জোসনা বেগমরে কাছ থেকে ২০১৩ ইং সালে ৩২ শতাংশ জমি খরিদ করার সিদ্দান্ত হয়। ছেলে বাবুল মাষ্টার ওই জমি কেনা বেচার মধ্যস্থা করেন। পিতার অংশ ১ লাখ ৪০ হাজার এবং বোনের অংশ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা করে মুল্য নির্ধারন হয়। সে অনুযায়ী ছিদ্দিক মাষ্টার প্রথমে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং তার মেয়ে জোসনা বেগম ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বায়না নেয়।
অপরদিকে উভয় অংশের জমির নামজারি বাবদ ২৪ হাজার টাকা এবং স্ট্যাম্প ও দলির খরচ বাবদ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ছেলে বাবুল মাষ্টার।
দলিল রেজিষ্ট্রিদেয়ার দিন ছিদ্দিক মাষ্টার ও তার মেয়ে জোসনা বেগম বাংলাবাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থিত হয়ে কেবল মাত্র ১১ টি চালান স্টাম্পে ছিদ্দিক মাষ্টার স্বাক্ষর করা মুহুর্তে খবর পেয়ে দুরন্ধর ছেলে প্রতারক বাবুল মাষ্টার উপস্থিত হয়ে পিতা ও বোনকে ভুৃয়া অজুহাতে জোড়পুর্বক সেখান থেকে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে আর দলিল রেজিষ্ট্রি না দিয়ে নানান তালবাহানা করেতে থাকে তারা। একপর্যায়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান শাহে আলম।
বাবুল মাষ্টার ও তার পিতা ওই জমি রেজিষ্ট্রি দেয়ার অঙ্গীকারে তাদের কাছ থেকে আবারো স্বাক্ষর রাখেন চেয়ারম্যান ইয়াছিন লিটন। কিন্তু সালিশ মিমাংসার মাঝখানে পালিয়ে যায় পিতা- পুত্র।
আবারো ধরাছোয়ার বাহিরে চলে যায় তারা। এরই মধে ছিদ্দিক মাষ্টার মারা যাওয়ায় কুল হারিয়ে শাহে আলম এমপি আলী আজম মুকুল এর কাছে বিচার দিলে তিনি তৎকালীন দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজ এর নিকট পাঠায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন কান্টু মাষ্টার মিলে ফয়সালা দিতে গিয়েও ব্যর্থ হন। বরং কয়েকদিন পর উল্টো ভাইস চেয়ারম্যানের নামে একটি চিটিং মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করে বাবুল মাষ্টার। পরে ভাইস চেয়ারম্যান কাগজপত্র আদালতে জমা দেন।
তার কয়েক দিন পর শাহে আলমের নামে আরো একটি চিটিং মামলা দেয় বাবুল। ওই মামলায় শাহে আলম ১৯ দিন জেল খাটেন।পরে মামলটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। কোন বিচার না পেয়ে শাহে আলম দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা করেন।আদলত চুরান্ত সিদ্দান্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই জমি শাহে আলমের দখলে রাখার আদেশ দেন এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে বাবুল মাষ্টার ক্ষিপ্ত হয়ে শাহে আলম ও তার পাঁচ ছেলে সেলিম,হালিম,কবির,আঃ রহমান,সবুজ ও জামাই জাকিরের বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করেন।ওই মামলায় তারা দুমাস জেল খাটেন। এখনো মামলাটি চলমান আছে।
এদিকে শাহে আলমকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে প্রতারক মামলাবাজ বাবুল মাষ্টার। নতুন আরো বড়ধরনের মামলায় জড়িয়ে জেল খাটানো হবে বলে বাবুল মাস্টার হুমকি দিচ্ছে। বাবুল মাষ্টারের অত্যাচারেরর হাত থেকে বাঁচতে তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি শাহে আলম ও তার ছেলেরা।