Shadow

দৌলতখানে জাল দলিলে প্রতারণার মাধ্যমে জমি দখলের অভিযোগ l

ভোলা প্রতিনিধি ll ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের মধ্য জয়নগর গ্রামের ছায়েব আলী বেপারীর ছেলে মো: মোছলেম ছৈয়াল ও তার ছেলে জিলন, মিজানের বিরুদ্ধে অন্যের জমির জালদলিল তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে দখল কারার অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে মো: মোছলেম ছৈয়াল ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে দৌলতখান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি জাল জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছেন একই এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে মো: রতন। মামলা নং এম, পি ৮৬/ ২০১৮ ইং।
মামলার বর্ণনা এবং রতন কর্তৃক জানা যায়, এস. এ. ১০২৫ নং খতিয়ানের ভূমিতে তাদের পূর্ববর্তী হযরত আলীর ছেলে সৃজন আলী ও দুর্জ্জন আলী এবং নোয়াগাজী বাগার ছেলে আবদুল আজিজ কয়েকাংশে রেকর্ড সূত্রে মালিক থেকে ভোগ দখল করে আসছেন।
রেকর্ডীয় মালিক আবদুল আজিজের কোনো সন্তান ছিলো না।
তার স্ত্রীর মৃত্যুর পর ঐ জমির রেকর্ডীয় মালিক সৃজন আলী ও দুর্জ্জন আলী বরাবর দান করে দখল বুঝিয়ে দিয়ে জান।
আবদুল আজিজ এর মৃত্যুর পর তার ত্যাজ্য বিত্তে রতন গংরা ঘর দরজা উঠিয়ে ভোগ দখল করে আসছে।
রেকর্ডীয় মালিক নোয়াগাজীর ছেলে আবদুল আজিজ নি:সন্তান এবং ওয়ারিশ বিহীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় তার ত্যাজ্য বিত্তে রতন গংরা ও শরীকদের জমি অবৈধভাবে আত্মসাতের জন্য জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গত ২৪-০৮-২০১৭ইং তারিখে দলিল তৈরি করেন মোছলেম ছৈয়াল ও তার ছেলেরা।
এব্যাপারে গত ৩০-০৩-২০১৭ ইং তারিখে উত্তর জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে আবদুল আজিজের একমাত্র পুত্র মো: জহির আহম্মাদ দেখিয়ে ওয়ারিশ সনদপত্র সংগ্রহ করে প্রতারক চক্রটি।
চেয়ারম্যান বিষয়টি জেনে গত ১৪-০৫-২০১৮ ইং তারিখে আবদুল আজিজ এর ১ম পুত্র জহির আহাম্মদ দেখানো ওয়ারিশ সনদপত্র বাতিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী বরাবর চিঠি পাঠান।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক রির্পোট প্রদানের নির্দেশ দেন। রির্পোটে আবদুল আজিজের জহির নামে কোন সন্তান ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ মোছলেম ছৈয়াল জহিরকে আবদুল আজিজ এর সন্তান দেখিয়ে জাল দলিল তৈরি করে ২২ শতাংশ জমি দখলে নিয়েছেন।

অন্যদিকে জহির আহম্মদ দেখিয়ে একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয় পএ তৈরি করেন যাহার নং-১৯৫৮০৯১৫৪৬৬২২৮৭৮১। এই জাতীয় পরিচয় পএে দেখা যায় জহির আহম্মদ পিতাং আবদুল রশিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *