ভোলা পতিনিধিঃ-
দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের মধ্য জয়মগর গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের আব্বাস বেপারী বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ৩১/৮/১৯ ইং তারিখ বিকাল ৫ টার সময় ঘটেছে। মৃত মোছলেম আহাম্মদ এর ছেলে আহত হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে জানান,তিনি মিয়ারহাট বাজারে টাইলস ও স্যানেটারী ব্যবসা করেন।তার চাচাতো ভাই কাঞ্চন বাড়ীর দক্ষিণ পাশে ৬ শতাংশ নাল জমির মালিক।
তার জমির সিমানা কর্তন হয়েছে মর্মে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানুষের কাছে অভিযোগ ও অপপ্রচার চালায় এবং এ নিয়ে বাড়ীতে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে।ঘটনার দিন বিকালে উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন আঃমীলীগের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম বাবুকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে দেখাতে যায়।
এসময় কাঞ্চন উত্তেজিত হয়ে বাবুর সামনেই হেলালের চেহারা লক্ষ করে জগ ছুড়ে মারে। এতে হেলালের মুখের নিচের অংশ ফুলা জখম হয়।
একপর্যায়ে কাঞ্চন হেলালের জামার কলার ধরে কিল ঘুষি মারতে থাকে। সাথে যোগ দেয় কাঞ্চনের দুই স্ত্রী প্রিয়াংকা, তাহেরা বেগম,ছেলে রুবেল ও মেয়ে বেবি বেগম। হেলালকে মারধরের খবর পেয়ে তাকে বাচাতে হেলালের ফুফা সেলিম হাওলাদার(৫৩), ছেলে লিমন ও তার স্ত্রী সিলা বেগম গেলে তাদেরকেও উপর্যুপরি মারধর করতে থাকে কাঞ্চন ও তার পরিবাবের লোকজন।মারা মারির এক পর্যায়ে হেলালের ছেলে লিমনকে টেনে হেচড়ে নিয়ে গেঞ্জি গলায় পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এদিকে হেলাল পরিবারের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি কাঞ্চন। সে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২/৯/১৯ ইং তারিখে দৌলতখান সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাঞ্চন তার মেয়ে আরজু বেগমকে বাদী সাজিয়ে হেলাল,সেলিম হাওলাদার, লিমন ও সিলা বেগমকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করে। মামলার আরজিতে কাঞ্চনের জমির সিমানা কর্তন, এবং বাগান থেকে ৫০ হাজার টাকার মুল্যের একটি রেন্ট্রি গাছ নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঞ্চনের মামলায় উল্লেখিত জমির সিমানা কর্তন এবং কোন রেন্ট্রি গাছ কেটে নেওয়ার কোন নমুনাই দেখা যায়নি।এলাকাবাসি জানান,কাঞ্চন উছৃংঙ্খল প্রকৃতির লোক। বাড়ীর লোকদের সাথে কথায় কথায় জগড়া বিবাদে জড়িয়ে পরে। আমরা যতটুকু জানি এঘটনার প্রত্যক্ষভাবে দোষী কাঞ্চন ও তার পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন কাঞ্চনের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।