Shadow

দৌলতখানে মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ফলে. সন্তান প্রসব ।

মীর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ॥ দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শফিজল মোল্লার মেয়ে দক্ষিণ জয়নগর হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জান্নাত বেগমকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের ফলে অন্তসত্বা হয়ে অবশেষে গত ২৩/১১/২০১৬ইং তারিখে ছেলে সন্তান সন্তান প্রসব করেছে। একই এলাকার মোঃ মফিজের লম্পট ছেলে ইব্রাহীম (২৫) দীর্ঘদিন ধরে তাকে ধর্ষণ করে। এঘটনায় জান্নাত বেগমের মা আমিরুন নেছা (৪০) বাদী হয়ে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৯ অক্টোবর ২০১৬ইং তারিখে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভোলার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল)কে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, একই এলাকার মফিজের ছেলে ইব্রাহীম প্রতিবেশি হওয়ায় জান্নাত বেগমের বাসায় প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করত। এক পর্যায়ে ইব্রাহীম জান্নাত বেগমকে ফুঁসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২২/০১/২০১৬ইং তারিখ থেকে শুরু করে ইব্রাহীম জান্নাত বেগমকে বাসা-বাড়ীসহ  বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। ফলে জান্নাত বেগম অন্তসত্বা হয়ে পড়ে। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার, ইউপি সদস্য হারুন হাওলাদারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইব্রাহীমকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে শালিস মিমাংসার আয়োজন করে। ওই শালিস মিমাংসায় ইব্রাহীম প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়ায় জান্নান বেগমকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত হয়। ইব্রাহীম ও তার অভিবাক বিবাহের সিদ্ধান্ত সাধরে গ্রহন করে। কিন্তু কয়েকদিন অতিবাহিত হলে ইব্রাহীম বিবাহ নিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে হাতে নিয়ে ওই ঘটনাটি ধামাচাপার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছে। এমনকি জান্নাত বেগম ও তার মা এ ঘটনা নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে। ইব্রাহীমের অব্যাহত হুমকির ফলে জান্নাতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। এদিকে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে ইব্রাহীম ঘটনার সাথে একা জড়িত নয় বলে দাবী করেছেন। তবে ইব্রাহীমই এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্থানীয় অধিকাংশ ব্যক্তি জানান। তারা এ ঘটনার জন্য সুবিচার দাবী করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *