Shadow

দৌলতখান উপজেলা বিএনপি অফিসে ছাত্র ও যুবলীগের হামলা – ভাংচুর : যুবদল সম্পাদকসহ আহত – ২০

মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন : ভোলার দৌলতখান উপজেলা বিএনপির অফিসে ছাত্র ও যুবলীগের ক্যাডারবাহিনী হামলা – ভাংচুর চালিয়ে উপজেলা যুবদলের সম্পাদকসহ ছাত্রদল যুবদলের প্রায় ২০ নেতা কর্মীকে আহত  করেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় সন্রাসীরা অতর্কিতভাবে এ হামলা- ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক তালুকদার ও দলীয় সুত্রে জানাগেছে, প্রতিদিনের মত উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে বিকাল থেকেই জরো হয় নেতা কর্মীরা। রাত সাড়ে ৮ টার সময় নেতা কর্মীরা যখন টেলিভিশনের খবর দেখা নিয়ে  ব্যস্ত। এ সময় ছাত্র ও যুবলীগেরর রাকিব, মিরাজ, সুমন,আজগর ও শহিদসহ২৫/৩০ জন ক্যাডারবাহিনী কোন কিছু বুঝে  ওঠার আগেই তারা আমাদের অফিসে ঢুকে নেতা কর্মীকে এলোপাতারি ভাবে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা অফিসের চেয়ার টেবিল ও টেলিভিশনটি ভেঙে তচনচ  করে। নেতা কর্মীরা  ভয়ে পিছন দিয়ে  পালানোর চেষ্টা করেও তাদের হামলা থেকে কেউ বা্ঁচতে পারেনি। হামলায় উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল তালুকদার, ছাত্রদল নেতা নাহিদ,সাব্বির, শহিদ উদ্দিন, আমির হোসেন, আওলাদ, সোহেল মিজি , মামুম মিজি, মমিন মিজি,ফাহিম, হারুন,মাসুদ মিজি,সুজন,মহিন, আক্তার,জামাল,আরিফ মৃধা ও আল-আমানসহ বিশ নেতাকর্মী  গুরুতর  আহত হয়েছে । এদিকে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায়  ছাত্রলীগের কোন নেতা কর্মীরা জড়িত নয় বলে দাবী করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল পারভেজ। অপরদিকে  উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান টিপু জানান,বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনেই নিজেরা হামলা চালিয়ে যুবলীগের নেতা কর্মীদের উপর দোষ দিচ্ছে । তবে দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান সাজু জানান, দলে কোন কোন্দল নেই। বরং পার্টি অফিসে প্রতিদিন নেতা কর্মীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই জনমনে ভীতি সৃষ্টি করতে তারা পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছ ।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে এ ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ  জানিয়েছন বিএনপির নির্বাহি কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ  আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহীম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *