ভোলা প্রতিনিধি : দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের এগারো জন মেম্বারের খামখেয়ালিপনার কারণে ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণ চরম ভোগান্তিতে পরেছে। নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িত হয়ে জনগণকে জিম্মী করে নিজেদের স্বার্থ হাছিল করতে উঠে পরে লেগেছে। ভুক্তভোগীরা জানান,ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পরিষদের কার্যক্রম চলছিল খুব সুন্দর ভাবে। কয়েকদিন যেতে না যেতে হঠাৎ মেম্বারগণ একযোগ হয়ে অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা দাবি করে চেয়ারম্যানের কাছে । এ নিয়ে চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন ভুইয়ার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় তাদের। একপর্যায়ে তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়। কিন্তু নাছাড়া বন্দা চেয়ারম্যান। তিনি অন্যায় আবদারের কাছে মাথা নত করেননি। ফলে বিষয়টি নিয়ে জটলা দারায়। প্রথম অনাস্থা ছয় মাসের মধ্যে হওয়ার কারণে জেলা প্রশাসন তা বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে আবারো তারা অনাস্থা দেয়। এদিকে চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন ভুইয়া জানান,তার নামের পরিষদের বরাদ্দকৃত ৪০ লাখ টাকার প্রকল্প টিআর কাবিখা আত্মসাৎ করেছে মেম্বাররা। এ কাজে সহযোগীতা করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার। তাই এরই মধ্যে প্রকল্প আত্মসাতের অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে । আরো মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো জানান,পরিষদের অনেক প্রকল্প আমাকে না জানিয়ে স্থানীয় মেম্বারদের মাঝে বন্টন করা হয়েছে। সে কাজ কোথায় হয়েছে কেউ বলতে পারেনা। জনগণ জানান,প্রথমে তাদেরকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভুল বুঝিয়ে জনগণকে ফুঁসিয়ে তোলে। পরে জানাগেছে ওই মেম্বাররাই অনিয়ম করছে। এখন আর মেম্বারদের কথা কেউ শোনে না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন,মেম্বারদের নিজেদের হীন স্বার্থ হাছিল করার জন্য তারা যে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে রেখেছে তার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এগারো মেম্বার হলেন,হেলাল উদ্দিন,বশির, অদুদ,সেলিম,ছোলায়মান পাটোয়ারি, বিল্লাল,আজিজল,ফরমুজল হক,মহিলা সংরক্ষিত আসন,জুনু বেগম,জুথি আক্তার ও মিনারা বেগম।