Shadow

দৌলতখান-বোরহাউদ্দিন রক্ষা বাঁধ প্রকল্প চলতি বছর সিসি ব্লকের কাজ না হওয়ায় বর্ষা মৌসূমে হাজারো বাড়ী ঘর-আবাদী জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা জেলার ভাঙ্গন কবলিত দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন উপজেলা রক্ষা বাধ প্রকল্পের আওতায় সিসি ব্লকের কাজ এ বছর না করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারন হিসেবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে র্পোডার ৫৬/৫৭ রক্ষা প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ নং Bor-RBP–০৮ কাজের সাইটে ব্লক তৈরীর জন্য যে ফিল্ড থাকার প্রয়োজন তা বাস্তবে নেই।
গতকাল বুধবার সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানকালে দেখা গেছে, ব্লক তৈরী করে যে স্থানটায় স্থাপন করতে হবে সে ফিল্টা বাস্তব অবস্থায় প্রায় ৫-৭ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে উক্ত প্যাকেজের সিসি ব্লক তৈরী ও স্ট্যাকিং করতে হলে প্রায় ৬৮,৮০০ বর্গপুট জায়গাজুড়ে ডাইক তৈরী করে ৮/১০ ফুট বালি ফিলিং করতে হবে। তবেই সিসি ব্লক তৈরি ও স্ট্যাকিং করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান INFRATECH-NZK JV প্রকল্পটির ম্যানেজার মোঃ আজহার উদ্দিন মুছা ও মনজুরুল আলম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা আমাদেরকে ১ফুট বালি ভড়াট করে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। কিন্ত আমরা ৫ফুট বালি ভরাট করে কাজ শুরু করি। তবে আমরা কাজ দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাই। কিন্ত প্রতি মাসে ২বার প্রাই ১৫ দিন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের হাজার হাজার ফুট সিলেট বালি ও ২ হাজার  বস্তা সিমেন্ট পানিতে নস্ট এবং তৈরী করা ব্লক পানিতে ডুবে যায়। এ সংক্রান্ত জটিল সমস্যার ফিরিস্তি তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর ইতিধ্যেই লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
স্থানীয় শ্রেনী পেশার লোকজনে সাথে আলাপ করলে তারা জানান, এ বছর ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে বাধ নির্মান করা না গেলে সামনে বর্ষা মৌসুমে এ সমস্ত এলাকার হাজার হাজার একর আবাদী জমি ও বাড়ীঘর রাক্ষুসী মেঘনার পেটে তলিয়ে যাবে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাব্বত জান চৌধুরী জানান, বর্ষার পূর্বেই বাধ রক্ষার জন্য সিসি ব্লক স্থাপন করতে হবে। এজন্য যা যা করনীয় আমার সবই করবো। তিনি বলেন, ভাঙ্গন কবলিত মনুষের ভাগ্য নিয়ে পাউবো কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার অবহেলা করলে তা সহ্য করা হবেনা।
দৌলতখান উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত ভবনীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম-নবী নবু জানান, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই যদি ব্লক স্থাপন সম্পন্ন করা না হয় তা হলে নিরীহ মানুষের আর কোন সহায় সম্বল থাবেনা। তিনি বলেন, বর্ষা আসতে এখনো ২/১ মাস বাকী এর পূর্বেই যে কোন মূল্যে ব্লকের কাজ সমাপ্ত করতে হবে।
এ ব্যাপারে পাউবো-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আবেদন পেয়েছি, তাদের দাবী যৌক্তিক হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে আপত্তি থাকবেনা। তিনি বলেন, দুই বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের কাজ আশা রাখি সঠিক সময়েই সমাপ্ত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *