Shadow

নারী নেত্রীর দূর্দিন ৪০ বছর আওয়ামীলীগের গুন টেনেও মাঝি হতে পারেনি মমতাজ

মীর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ॥ জন্মের পর বুঝ হওয়ার পর থেকে আওয়ামীলীগের সংগঠনে জড়িত হয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে ওমর কুলসুম ওরফে মমতাজ বেগম। দীর্ঘ বছরের রাজনীতির মাঠে বহু চরাই উত্তাপ পেরিয়ে এখনও মুজিব আদর্শকে বুকে ধারন করে আ’লীগের সংগঠনে সক্রিয় ভাবে কাজ করছে সেই নেত্রী। ইতিমধ্যে বহু হামলা-মামলা মোকদ্দমায় নিপতিত হয়ে তিনি এখন নিঃস্ব জীবন যাপন করছে। স্বামী সংসার, ছেলে-মেয়ে নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে তার দিন কাটছে। নেতাদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ঘুরে ঘুরেও তিনি কোন সহযোগিতা পাননি।
একথাগুলো বলেছেন, ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ডের গুপ্তমুন্সি এলাকার নারী নেত্রী মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগম চোখের পানি ছেড়ে আক্ষেপ করে বলেন, বুঝ হওয়ার পর থেকে আমি আওয়ামীলীগ করে আসছি। আওয়ামীলীগ করার অপরাধে ২০০১ সালে পশ্চিম ইলিশা, দক্ষিণ চরপাতায় থাকা অবস্থায় আমার বসত বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে নিচিহ্ন করে দিয়েছে। পরে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ডে কোন রকম ঠাই হয়। ২০০১ সাল থেকে আমাকে ও আমার ছোট ভাই আব্দুল অদুদ হাওলাদারকে প্রায় ২০-২৫টি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল খাটিয়েছে। যৌথ বাহিনীর সময় আমাকে গ্রেফতার করে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে। দীর্ঘ বছর আওয়ামীলীগ করার ফলে আমার প্রায় ২০ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। স্থানীয় নেতা ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছে সহযোগিতার জন্য আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত দলীয়ভাবে কোন সহযোগিতা পাইনি। তাই আমার সংসার জীবন চলছে অর্ধাহারে অনাহারে। বর্তমানে আমার একটি মেয়ে বিবাহ দিয়েছি। অর্থের অভাবে এখনও উঠিয়ে দিতে পারেনি। আর আমার ভাই আব্দুল অদুদ যৌথ বাহিনীর নির্যাতনে এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি। তাই অবহেলিত পরীক্ষিত মাঠ পর্যায়ের কর্মী মমতাজ বেগম নেতাদের কাছে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *