Shadow

পুলিশ পরিচয়ে দক্ষিণ চরবংশীতে ডাকাতি

মোঃ আরিফ হোসেন
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাধীন দক্ষিণ চরবংশী ইউপির একই গ্রামে ফিল্মি স্টাইলে পুলিশ পরিচয়ে পাশ্ববর্তী দুই বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১ টার দিকে দক্ষিণ চরবংশী ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের মিয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নগদ টাকা ও স্বর্ণ অংলকার নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।

ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে প্রতিবেশী শহীদ বোপারীর (৪৫) সাথে ভুক্তভোগী মুরাদ (৪৫) ও তার স্ত্রী আমেনা বেগমের (৩০) সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে শহীদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪০) ছেলে বাবুল (২২) ও তার মেয়ে পারভিন আক্তার (২৮) সহ দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে প্রাণ নাশের হুমকি দিলে আশেপাশের লোকজন তা প্রতিহত করে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, মুরাদের বাড়ীর পাশে শাকসবজির ক্ষেত করেন পাশ্ববর্তী বাড়ীর শহীদ বেপারী। প্রায় সময় মুরাদের পালিত মোরগ শহীদের ফসল নষ্ট করে এমন অভিযোগ আনেন শহীদ। মুরাদের স্ত্রী আমেনা বেগমের সাথে তর্ক বিতর্ক হলে শহীদের ছেলে বাবুল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসলে প্রতিবেশীরা তা প্রতিহত করে। রাত ১ টার দিকে পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন ডাকাত দল মুরাদেট ঘরে প্রবেশ করে। পরে মুরাদের হাত-পা বেঁধে তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন চালায়। মুরাদের ঘরের পাশেই অবস্থিত তার বোন খুকির ঘর। সেই ঘরেই থাকেন মুরাদের বৃদ্ধ মা নুরজাহান (৭০), বোন খুকি (৩৫) ও ভাগ্নে তারেক (১৫) (প্রতিবন্ধী)। সেই ঘরেও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হানা দেয় ডাকাত দল। দেশীয় ঠেকিয়ে স্বর্ণ অলংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। একপর্যায়ে বৃদ্ধ মায়ের চিৎকার চেঁচামিচিতে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়,ঘটনার দিন দুপর সাড়ে বারোটার দিকে মুরাদ ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম পালিত মোরগ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছে প্রতিবেশী শহীদ ও তার ছেলে বাবুলের সাথে। মুরাদকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বাবুল। রাতের বেলায় মুরাদ ও তার বোনের বাসায় ডাকাতি হয়। মুরাদের বৃদ্ধ মায়ের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন উপস্থিত হয়। বিষয়টি টের পেয়ে দুটি মিনি টর্চ লাইট, একটি দেশীয় ভারী অস্ত্র ও একটি গায়ের চাঁদর রেখে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। পরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মুরাদকে উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইউসুফ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। কে বা কারা পুলিশের পরিচয় দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছ। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।