Shadow

“প্রয়াস নিউজ”এর সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে শিশুদের প্রিয় কবি জুঁই জেসমিন।

পরিচিতি
———-
জুঁই
জেসমিন,
১০ ই ফাল্গুনে জন্ম – নিভৃতচারী এক লেখিকা।
বাড়ির উত্তর কোণে কাঞ্চন জঙ্ঘার হাতছানি আর গাঁয়ের কোল ঘেঁষে ছুটে চলা আজও মেখে আছে তাঁর সোনালি শৈশব। নাঙ্গর নদীর নিটোল স্রোতে তাঁর সময়ের ভাবনা বহমান। যে ভাবনায় মন কেঁদে উঠে হাহাকারে ঝরে পড়া সেইসব কিশোর কিশোরীর কথা ভেবে! যারা সামান্য বালু ঝড়ে জীবন বিপন্ন দেয় আত্মহত্যা নামে মহা পাপে। যারা অসময়ে ডুব দেয় আবেগ সমুদ্রের সেই প্রণয়ী পাতালে, তলিয়ে যায় ধ্বংসের আচরে-এমন হাজারো ঝরে পড়া নিয়ে কবি মন শব্দের অলংকারে বিস্মিত ভাবনা রূপ দিয়েছে গল্পের কারুকাজে। যে গল্পে আছে, দৃঢ় ইচ্ছের প্রস্ফুটন, আঁধার নিবিয়ে আলোয় উদ্ভাসিত জীবন-
আমিত্বের মাঝে নিজেকে অর্জন।

শৈশব থেকে ভ্রমণ পিপাসু লেখিকা সবার হাসি কান্নার জগতে বিচরণ করে লিখেছেন অসংখ্য গল্প, কবিতা, ছড়া ও নাটক। লেখিকার স্বপ্ন- শিশুদের মাঝে শিশু হয়ে বেঁচে থাকা”
সৃষ্টির মাঝে, শিশু ও কিশোর সহ সকল শিক্ষার্থীর গল্প কবিতার -আলোর ভুবন গড়ে ওঠা। এই তাঁর সৃষ্টি হৃদয়ের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
তাঁর স্কুল জীবন ছিল প্রতিভা প্রস্ফুটনের সিঁড়ি, ” লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিটি স্যারের অনুপ্রেরণা ও সহযোগীতায় তিনি –
স্বরচিত কবিতা পাঠ ও তাৎক্ষণিক অভিনয়ে -বিভাগীয় পর্যায়ে, সেরা প্রতিযোগী ছিলেন একাধিকবার। তাঁর জীবনের স্বর্ণযুগ হলো কলেজ জীবন- তিনি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শহীদ আকবর আলী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। স্যারদের অপার সহযোগিতা ও ভালবাসায়- প্রেরণার সাগরে দোলে, সৃষ্টি করেন গল্প কবিতার
আর এক আনন্দ আসর।
তাঁর রক্তের সাথে মিশে আছে কবিত্ব। বাবা তছলিম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন শিক্ষানুরাগী। নিজ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ” রায়মহল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।”
মা তাহেরা আহমেদের নিগূঢ় মমতা শিখিয়েছে তাঁকে, শিশুদেরকে ভালবাসতে ও অন্যায়ে প্রতিবাদী হয়ে ন্যায়ের স্লোগান মা তাহেরা আহমেদের নিগূঢ় মমতা শিখিয়েছে তাঁকে, শিশুদেরকে ভালবাসতে ও অন্যায়ে প্রতিবাদী হয়ে ন্যায়ের স্লোগান গাইতে।
ভোর রবির প্রভা ছুঁয়ে লেখিকা, রূপালি মেঘের ডানা রঙ তুলি বানিয়ে, শিশিরের টুপটাপ ছন্দে, চন্দ্র রবির প্রভায়
সাফল্যের চিঠি’ – বইটির প্রচ্ছদ করেন।
তাঁর প্রথম প্রকাশিত শিশুতোষ ছড়া বই ” ছবি ও ছন্দে শিখি আনন্দে”
(তৃতীয় সংস্করণ)
যা ২০১৪ থেকে বেশ কিছু সংখ্যক, কিন্ডারগার্টেন স্কুলে- প্লে ও নার্সারি শ্রেণীতে পাঠ্য বই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
লেখিকা, সৃজনশীল ছড়া বইটি উপলক্ষ্যে
একাধিক স্কুল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সংবর্ধনা পান। এবং বাংলাদেশ কবি পরিষদ থেকে ২৪ জুন ২০১৬ ই সম্মাননা পান । ২০১৭ তে বের হয় সৃজনশীল শিশুতোষ গল্পের বই-” এসো গল্প পড়ি জীবন গড়ি।” এই বইয়ের
গল্প সমূহে শিশুদের বেড়ে উঠার পিছনে অন্তরায় গুলো তুলে ধরা হয়। একজন শিশুর সুন্দর স্বপ্নিল জীবনের জন্য কি কি করনীয় গল্পের মাঝে তা আলোকপাত করেছেন নিপুণভাবে।
কালের আরশি থেকে তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা- ভাষার রঙ ‘ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়।
তিনি
প্রচার ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক, বিভাগীয় লেখক পরিষদ রংপুর, ঠাকুরগাঁও শাখার।
ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গী থানার এই সৃজনশীল, মননশীল, আত্মবিশ্বাসী লেখিকা নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যায়, সাহিত্য সৃষ্টি নিয়ে।
সাহিত্যের মাঝে ডুবে থাকা এ যেন অনন্তকালের সাধনা। তাই একান্ত নির্জনে সৃষ্টিমন ডানা মেলে, উড়াল দেয় সৃষ্টির সীমানায়। লেখালেখির ভুবনে লেখিকার স্নেহময়ী মা সব সময় প্রেরণা জ্যোতি জ্বালিয়ে আঁধার দূরীভূত করে যান ছোট্ট মেয়ের স্বপ্ন যুদ্ধ চেতনায়।
এই সংগ্রামী লেখিকা, প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জীবন সুন্দর কামনার্থে এই ” সাফল্যের চিঠি ” পৌঁছে দিতে চান মনে প্রাণে পরম মমতায়- সবার অন্তরে প্রান্তরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *