কবিতা
মানবাত্মার কবি
জান্নাতুল ফেরদৌসি
ধুমকেতুর ন্যায় দুর্গম গিরিপথ বেয়ে,
বিদ্রোহের লাল নিশান উড়িয়ে,
কালবৈশাখীর দুর্বার গতিতে সাম্যের গান গেয়ে গেয়ে।
কে তুমি এলে ধরার দুয়ারে? অগ্নিবীণার সুর ঝংকারে,
নব যৌবনের সুর ব্যঞ্জনাতে,
মুয়াজ্জিনের সুমধুর ধ্বনিতে প্রশান্তি এলো মরুর বুকে।
কে তুমি প্রেমময় বাশরী হাতে?
কুরআন গীতা মহাভারতে,
আরবী ফারসি সংস্কৃতে,
গজলের প্রাণ মাতানো সুরবাহারে দুর্লভ জ্ঞানসাহিত্য কৃতিত্বে।
কে তুমি রাঙালে হৃদয় মাজারে?
অন্যায় অবিচার,অসাম্যের বিরুদ্ধে,
শোষণ শৃঙ্খলে দাবাগ্নি জ্বালিয়ে,
প্রতিবাদে মাতলে উদাত্তকণ্ঠে আকাশ পাতাল ঝঞ্জা কাপিয়ে।
কে তুমি দুর্জয় সাধনায় ব্রতচারী হয়ে?
কামার কুমোর কুলি মজুর,
হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃস্টান,
স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির সুরে মিলনমন্ত্রে বেধেছে ঐকতান।
কে তুমি এলে শান্তির দূত হয়ে?
তারুণ্যের কপালে জয়তিলক একে,
জারি সারি ভাটিয়ালি সুরের টানে,
বাংলা সাহিত্যে সমৃদ্ধি ছড়ালে রাগরাগিণীর প্রেমের গানে।
কে তুমি মহাকালের মহাকবি হয়ে?
তুমি বিদ্রোহী তুমি বিদ্রোহী মানবাত্মার কবি।
তুমি অগ্নিশিখা,
তুমি গণজাগরণের কবি তুমি নজরুল——
তুমি মানব হৃদয়ের লুকায়িত প্রেম তুমি মহান জাগ্রত সত্তা।