এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ইডটকো গ্রুপের সিইও সুরেশ সিধু ও বাঁশের টাওয়ার তৈরিতে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে নতুন উদ্ভাবনকে সব সময় স্বাগত জানায় বিটিআরসি। বিশেষ করে পরিবেশবান্ধ প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে চায়। তিনি আরও জানান, দেশে অচিরেই ফোরজি প্রযুক্তি চালু হচ্ছে।
ইডটকোর সিইও বলেন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্য থেকেই টেকসই প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁশকে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে প্রযুক্তি ব্যবহারে পরিবেশের ওপর প্রভাব কমে আসবে।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ জানান, কাঁচা বাঁশকে নমনীয় ও প্রসারণীয় শক্তি দিয়ে কংক্রিটের ওজন বহনের উপযোগী করে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো তৈরির উপাদানে পরিণত করা হয়েছে। বাঁশের তৈরি এই টাওয়ার ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতিতে টিকে থাকতে সক্ষম এবং এর আয়ুষ্কাল প্রাথমিকভাবে ১০ বছর। এই টাওয়ারে আটটি অ্যান্টেনা স্থাপন করা যায় যেগুলোর প্রত্যেকটি একই সঙ্গে সচল থাকবে।
তিনি আরও জানান, এই টাওয়ারে জ্বালানি খরচও স্টিলের তৈরি টাওয়ারের চেয়ে কম হবে।