Shadow

বোরহানউদ্দিনে কুয়েত সংস্থার চেয়ারম্যানকে ছাত্রলীগ কর্তৃক লাঞ্ছিতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক :-

ভোলার বোরহানউদ্দিনে অবস্থিত কুয়েত কমপ্লেক্স এর পরিচালক, এসোসিয়েশন অফ এক্সিলেন্স চ্যারিটি -অফ বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে স্থানীয় এমপি আলী আজম মুকুল এর নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক লাঞ্ছিত ও ত্রাণ কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় জাকির হোসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়ে চিঠি পাঠিয়ে দোষীেদের বিরুদ্ধে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো চিঠি সুত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ মহামারিতে নিজ উদ্দোগে অসহায় মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ শুরু করেন কুয়েত কমপ্লেক্স এর পরিচালক আলহাজ্ব জাকির হোসেন।
প্রথম দফায় ১৮/৪/২০২০ ইং তারিখ হইতে ২১/৪/২০২০ ইং পর্যন্ত ভোলা জেলার সকল মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের মাঝে স্ব-স্ব ইউপি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
দ্বিতিয় দফায় অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে দৌলতখান -বোরহানউদ্দিন উপজেলার সংসদসদস্য আলী আজম মুকুল জাকির হোসেনকে ২১/৪/২০২০ ইং তারিখে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি জাকির হোসেনের সাথে ঘটে যাওয়া পূর্বের ঘটনায় ভুল করেছেন বলে স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। এখন থেকে কুয়েত সংস্থার যত কাজ হবে তা দুজনে মিলে কাজ করার কথা বলেন।পরে সাংসদ আলী আজম মুকুল জাকির হোসেন এর কাছে ব্যক্তিগত ভাবে কিছু খাদ্য সামগ্রী চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২/৪/২০২০ ইং তারিখে ১০ টন চাল,৩ টন চিনি,৩ টন ছোলা বুট ও ১ টন মশুর ডাল তাকে প্রদান করেন।
২৪/৪/২০২০ তারিখে আবরো মোবাইলে ফোন করে আরো কিছু খাদ্য সামগ্রী চায় আলী আজম মুকুল।২৭/৪/২০২০ তারিখে ৫ টন চাল,১ টন মশুর ডাল প্রদান করেন তাকে।এগুলো পেয়েও সন্তুষ্ট হতে পারেন নি সাংসদ আলী আজম মুকুল।কিচুক্ষণ পর জাকির হোসেন এর ছেলে মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনের মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে হুমকি দেয় এবং তার পিতাকে ফোন দিতে বলে। তিনি কথা বলা শুরু করা মাত্রই আলী আজম মুকুল বলেন,আমি কি ভিক্ষুক? আমাকে ভিক্ষা দিছো? তোমরা জঙ্গি, তোমরা আল কায়দা,তোমাদের কার্যক্রম সন্দেহজনক। আমি এখনই লোক পাঠাচ্ছি তোমার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিব। এর কিচুক্ষণ পরই বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও বাপ্পসহ বেশ কয়েকজন ক্যাডারবাহিনী এসে জাকির হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে হলে তাদের মাধ্যমে এবং আ:লীগের পার্টি অফিস থেকে বিতরণ করতে হবে বলে হুমকি দেয়। এ ধরনের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে জাকির হোসেন এর হাত থেকে দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে । এসময় ত্রাণ বিতরণের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় তারা। যাওয়ার সময়ে এখানে কুয়েতী কোন কার্যক্রম করতে দেয়া হবেনা বলে হুমকি দিয়ে যায়।
উল্লেখ্য,বিগত ১২ বছর ধরে অত্যান্ত সততা ও সুনামের সাথে কুয়েত কমপ্লেক্সের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন জাকির হোসেন। তার প্রচেষ্টায় এই সংস্থার মাধ্যমে ভোলা জেলাসহ বাংলাদেশেরর বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত ২৫৩ টি মসজিদ, ৭৪ টি মাদরাসা,২৯ টি এতিমখানা বহুতল ভবন নির্মান করা হয়েছে এবং ২৫০৫ টি গভীর নলকুপ বসানো হয়েছে। এখনো বহু মসজিদ, মাদরাসার ভবন নির্মানের প্রক্রিয়াধীন রয়েছ। এছারাও তিনি হাজার হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং এতিম মেয়েদের বিবাহ সম্পাদন, বস্র প্রদানসহ জন উন্নয়নমুলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।
তিনি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৬ বার রেমিটেন্স এওয়ার্ড পেয়ে সম্মানিত হয়েছেন। মানব সেবায় এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য এবং ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা কামনা করেছেন জাকির হোসেন।
এদিকে ছাত্রলীগ কর্তৃক জাকির হোসেনকে লাঞ্ছিত করা এবং ত্রাণ বিতরণের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় ভোলার আলেম সমাজ ও সাধারণ মুসল্লীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এঘটনার দ্রুত বিচার দাবী করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *