Shadow

ভোলার ইলিশা-১ কূপের তৃতীয় স্তরেও মিলেছে গ্যাসের সন্ধান

শরীফ হোসাইন, ভোলা ॥ ভোলার ইলিশা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ খনন শেষে প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের পর এবার তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিদিন এ কূপ থেকে ২ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। সোমবার (১৫ মে) সকালে আগুন জ্বালিয়ে শেষ ধাপের গ্যাস পরীক্ষার কাজ শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স।
বাপেক্স জানায়, ভোলার ইলিশা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ খনন শেষে তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতিদিন এ কূপ থেকে ২ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের দিকে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের পর গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এ বছরের গত ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিয়া ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় ‘ইলিশা-১’ কূপ খননকাজ শুরু করে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। ৩ হাজার ৪৩৬ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পেলে ২৪ এপ্রিল প্রথম স্তরের খননকাজ শেষ করা হয়। প্রথম স্তরের সফলতার পর রোববার (৭ মে) দ্বিতীয় স্তরেও মেলে গ্যাসের সন্ধান। এখন তৃতীয় স্তরের ডিএসটি সম্পন্ন হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা হবে। সেটি এখন কবে নাগাদ শুরু হবে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ কূপে গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এদিকে একের পর এক গ্যাসের সন্ধান মেলায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির স্বপ্ন দেখছে তারা।
বাপেক্স বলছে, ইলিশা-১ কূপ একটি আলাদা গ্যাস ক্ষেত্র হতে পারে, যা এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। সব ঠিক থাকলে ভোলার ৯টি কূপে মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ দশমিক ৭ টিসিএফ। উল্লেখ্য, ১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে।