রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : মেঘনা উপকূলের লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সুপার সাইক্লোন মোখার ক্ষয়ক্ষতিবিহীন অতিক্রম করেছে। দিনভর ছিল সামান্য গুড়িগুড়ি বৃষ্টি । মেঘনা নদীতে ছিল স্বাভাবিক জোয়ার।
ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। ৩৫ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রক্যেকটি ধুয়ে মুছে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। মানুষকে সচেতন ও নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এবং চরাঞ্চল ও দ্বীপ চরে মাইকিং করা হয়। চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নের চর গজারিয়া ও মধ্য চর আবদুল্যার দ্বীপ চর সমূহে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়।
সিপিপি কর্মীরা এবং আনসার ভিডিপি সদস্যরা ব্যাপক প্রচারনা করে।
মেঘনা পাড়ের নদী তীরবর্তী বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য ও দূর্যোগের আগে , দূর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ে করনীয় বিষয়ে সচেতনতার জন্য প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। প্রচারনায় নিয়োজিত ছিলেন উপজেলা প্রশিক্ষক হাসান আহমেদ সাথে ছিলেন উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার মোঃ তাওহীদুল ইসলাম (সুমন) এবং সহঃ আনসার কমান্ডার মোঃ তৌহিদ সহ বাহিনীর অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ।
সিপিপি উপজেলা টিম লিডার মাইন উদ্দিন খোকন জানান, আমাদের সিপিপির স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা আনসার প্রশিক্ষক হাসান আহমেদ জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম শান্তুনু চৌধুরী জানান, আনসার বাহিনীর সদস্যরা মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে কাজ করেছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায়
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম শান্তুনু চৌধুরী জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্নক প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত এবং শুকনা খাবার মজুদ করে রাখা হয়েছে।একটি নিয়ন্ত্রন কক্ষ খোলা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক প্রচারণা করা হয়েছে। আমরা দ্বীপচর থেকে মানুষজনকে এবং তাদের গৃহপালিত পশুসম্পদকে নিরাপদে নিয়ে এসেছি।ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সর্বাত্নক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।