Shadow

ভোলার চিকিৎসা সেবা এখন সমালোচনার উর্ধে।

মোঃ বেল্লাল নাফিজ || একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা, সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের পর ভোলার বাহিরে যোগাযোগ ব্যবস্তা বিছিন্ন।
মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে ভোলার বাহিরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার নাই কোনো ব্যবস্থা, ফলে অকাল মৃত্যুর মত ঘটনা ঘঠে প্রতিনিয়ত।

প্রতিদিন ভোলা বাসির প্রানের দাবি থাকা সত্ত্বেও এখনো বাস্তবায়িত হচ্ছে না বিকল্প নৌ- এম্বুলেন্স সার্ভিস।

শাকিল নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার বাবা হঠাৎ গত দুই মাস আগে সন্ধ্যা ৭টায় শাস-প্রশাস ভেড়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক ভোলা সদর হসপিটালে নিয়ে আসি হসপিটালের ইমার্জেন্সি ডাঃ বরিশাল নিতে বলেন, সন্ধ্যা ৮ টা ভোলা ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে এম্বুলেন্স যোগে নিয়ে যাই কিন্তু ভেদুরিয়া থেকে বরিশালে নেওয়ার কোনো ব্যবস্তা না থাকাতে ১ ঘন্ট অতিবাহিত হওয়ার পড়ে লঞ্চঘাটে এম্বুলেন্সের মধ্যেই বাবার মৃত্যু হয়।

যেই জেলার বাহিরে মুমূর্ষু রোগী নেওয়ার নেই কোনো ব্যবস্তা …সেই জেলার চিকিৎসা সেবার কথা বলতে গেলে বলতে হয় শুধু হসপিটালের ভবন গুলোর আনাছে কানাছে রোগীর ভরা, কিন্তু ডাঃ খুঁজে পাওয়া বাহুল্য।
এবং প্রতি বিভাগে যে পরিমান ডাঃ থাকার কথা তার ৪ এর একাংশও নেই।
যেখানে ১০০ (একশত) শয্যা বিশিষ্ট হসপিটাল সেখানে রোগীর চাপ থাকে দৈনিক প্রায় 400 থেকে 500 জন।একদিকে রোগীদের চাপ অপর দিকে ডাঃ সংকট।
তার পরেও ২২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রান কেন্দ্র ভোলা সদর হসপিটাল।

ভোলায় অকাল মৃত্যুর দিক দিয়ে অন্যান্য জেলা থেকে এগিয়ে, যার কারণ সময়োপযোগী উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বাঞ্ছিত এখানকার মানুষ।
৪ থেকে ৫ বছর পূর্বে ভোলার মানুষের মনে তখনকার ভবিষ্যৎ চিকিৎসা সেবা নিয়ে কিছুটা প্রশান্তি বিরাজ করছিল যার কারণ ছিল ভোলাতে মেডিকেল কলেজ নিয়ে এবং মেডিকেল কলেজের একাডেমীক ভবনের কাজও শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর আগে কিন্তু তাও অবশেষে আর সেবা বাঞ্ছিত মানুষের ভাগ্যে জোটলোনা!… কারণ অজানা।

এবং যেই হসপিটালে এতো মানুষের দৈনিক চাপ থাকে সেই হসপিটালের নিরাপদ পানি উত্তোলনের একটি মাত্র গভীর নলকূপ, এবং সেটাও এখন সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্তর ন্যায়।

এখানে চিকিৎসাধীন রোগীরা অভিযোগ করে বলেন , হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দিলেও বেশিরভাগ ওষুধ ও টেস্ট বাহির থেকে করাতে হচ্ছে। মেডিসিন বিভাগের দ্বিতীয় তলায় একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নূরে আলমের বোন নূরজাহান অভিযোগ করেন, হাসপাতালে কোনো টেস্ট করাতে গেলে তারা বলে মেশিন নষ্ট, বাহির থেকে করাতে হবে। বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে গত ছয় দিনে ১০ থেকেন১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
মেশিন নষ্ট কি না জানতে প্যাথলজি বিভাগে গেলে সেখানকার এক টেকনিশিয়ান বলেন মেশিন নষ্ট না। তবে রোগীর চাপ বেশি থাকায় ইমার্জেন্সি রোগীদের বাইরে যেতে বলছি। কারণ এখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। ফলে রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা করে আনতে বলা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *