ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান দুই মেম্বারের ক্ষমতার দাপটের কাছে মানুষ জিম্মী হয়ে পড়েছে। খোজ নিয়ে জানাগেছে, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার নুরু ও ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার সেলিম অবৈধ ভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষকে জিম্মী করে ফেলেছে। তাদের অত্যাচারে মানুষ এখন অতিষ্ঠ। ভুক্তভোগীরা জানান, চরের গডফাদার নুরু মেম্বার। সরকারী-বেসরকরী প্রায় কয়েক হাজার একর জমি জবর দখল করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। বহু কৃষক তাদের জমি চাষাবাদ করতে পারছেনা। অপরদিকে নদীতে মাছ ধরতে হলে এবং চরে গরু মহিষ পালতে হলে নুরু মেম্বারকে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয়। নুরু মেম্বারের নির্দেশের বাহিরে কোন জেলে মাছ ধরলে এবং কৃষক তার নিজ জমিতে চাষাবাদ করলে তার পরিনতি হয়েছে অত্যান্ত ভয়াবহ। জানাগেছে, নুরু মেম্বারের অর্ধশতাধিক অস্রধারী জলদস্যু রয়েছে । তাদের মাধ্যমে সকল অবৈধ সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে । গরু,মহিষ ও মাছ চুরি করে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করে । তার অন্যতম সহযোগী হলেন সেলিম মেম্বার। বিশেষ করে চোরাই গরু বিক্রয়ের দায়িত্ব পালন করে সেলিম মেম্বার । গত মাস দেড়েক আগেও তিনটি চোরাই গরু সেলিম মেম্বার মধ্যস্থায় নামে মাত্র বিচার হয় । পরে তা বিক্রি করে । এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান,সেলিম মেম্বার ও তার চার ভাই এক সময়ে ডাকাত সরদার সিরাজ মাজির নেতৃত্বে ডাকাতি করত। তৎকালীন সময়ে ডাকাতি চুরির অভিযোগে সেলিম মেম্বারকে রগ কর্তন করে দেয় স্থানীয় জনগণ । এখন সে সমাজের জনপ্রতিনিধি । অপরদিকে সেলিম মেম্বার বাজার ইজারা নিয়ে বিভিন্ন মানুষকে জিম্মী করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। তার ক্ষমতার দাপটের কাছে বহু মানুষই অসহায় । চুরি করা গরু বিক্রিসহ নানান অপরাধ সংঘটিত করছে সেলিম মেম্বার। এসব অপকর্মে তার ভাই বাশার সহযোগিতা করে। জানাগেছে, সেলিম যখন যেই দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের উপর ভর করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। কথায় কথায় মানুষকে মারধর করা তার অভ্যাস । আবার ছেলে রাকিব নতুন পুলিশে চাকুরির সুবাদে পুলিশের ভয় দেখিয়ে মানুষকে দাবিয়ে রাখে। কেউ বাড়াবাড়ি করলে এর পরিনতি ভয়াবহ হবে বলে তারা হুমকি দিয়ে রাখে। তাদের হাত থেকে বা্ঁচতে ইতিমধ্যে ভুক্তভোগিরা বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।