Shadow

ভোলার ভেলুমিয়ায় প্রেম করে বিয়ের পর ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী l

মীর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন : ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জপট্টি ২নং ওয়ার্ডের ইয়াছিন খাঁনের মেয়ের সাথে প্রেম করে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ মোবাশ্বের হোসেনের ছেলে ফজলে রাব্বী। ২ বছরের প্রেম গড়ায় বিবাহের দ্বারপ্রান্তে।

বিথির পিতা ইয়াছিন খান জানান, তার মেয়ে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে নানা বাড়ীতে থেকে বাংলাবাজার ফাতেমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করত। এ সময় স্থানীয় মোবাশ্বের আলীর ছেলে ফজলে রাব্বী তার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে প্রেমের ফাদে ফেলে। গত ২০/০২/২০১৮ ইং তারিখে ফজলে রাব্বী তার সুমন নামের এক বন্ধুকে নিয়ে আমার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে আমার মেয়ে বিথীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এ সময় সুমনকে ফজলে রাব্বীর ভগ্নিপতি হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়। বিয়েতে আমাদের সম্মতি না থাকলে মেয়ে ও ছেলের সম্পর্ক এবং সম্মতিতে আমরা ফজলে রাব্বীর কাছে ওই দিন ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহের কাজ সম্পন্ন করি।

বিয়েরপর বাড়ীতে আসা যাওয়া করছে ফজলে রাব্বী। কয়েকদিন অতিবাহিত হলে ফজলে রাব্বী বিথির মাধ্যমে আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দিলে বিথি ও আমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে বলে জানায়।

এদিকে সুচতুর ফজলে রাব্বী যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাকে জোরপূর্বক আটকিয়ে রেখে বিবাহ পড়ানো হয়েছে বলে বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালায়। এমনকি স্থানীয় একটি পত্রিকায়ও সংবাদ প্রকাশ করে। বাধ্য হয়ে তার অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা এ বিয়ের ব্যাপারে কোন কিছুই জানেন না। তাই যৌতুক চাওয়ারতো কোন প্রশ্নই আসেনা।

পরে এই বিষয়টি ভেলুমিয়া ফাড়ী পর্র্র্যন্ত গড়ায়। ঘটনাটি এ.এস.আই মোঃ নুরুজ্জামান তদন্ত করেন। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পত্রিকার নিউজের সাথে বিয়ের ডকুমেন্টের সাথে কোন মিল নেই। তিনি আরো জানান ছেলে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিয়েতে স্বাক্ষর করেছে। আমি তদন্ত শেষ করার পর ফজলে রাব্বীকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছি। না হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

এদিকে ফজলে রাব্বীর বিয়ের পর গোপনে খোজ নিয়েজানা যায়, তার সাথে একাধিক মেয়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। এ ব্যাপারে উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেন গজনবী সিকদার জানান, আমি বিবাহের সময় মেয়ের বাড়ীতে উপস্থিত ছিলাম। ফজলে রাব্বী ও সাবিকুন নাহার বিথি দুইজনই আমার আত্মীয়। বিয়ের সময়তো আমি উপস্থিত ছিলাম। ফজলে রাব্বীর সাথে একাধিক মেয়েদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে আমি শুনতে পাচ্ছি। খোজ নিয়ে আপনাকে ওর ব্যাপারে যেসব মেয়েদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে আপনাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করব।

ভুক্তভোগী সাবিকুন নাহার বিথি জানায়, তাকে বিয়ের পর অন্য একটি মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে যে আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রেখেছে অথচ তোমাকে বিয়ে করল এটা কিছুতেই হতে পারেনা।

অভিযুক্ত ফজলে রাব্বীকে জিজ্ঞাসা করলে সাংবাদিকদের জানায়, আমি বিয়ে করিনি। বিয়ের ডকুমেন্টের কথা বললে তারা আমার ভোটার আইডি কার্ড জাল করে আমার সাথে প্রতারণা করছে। আমি কোন বিয়েই করিনি। আমি যদি এই বিয়ে করে থাকি আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বিথির পরিবার ও এলাকাবাসী ফজলে রাব্বীর প্রতারণার ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *