Shadow

ভোলায় ইলিশা ইউ,সি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ।

মীর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ॥ ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউ,সি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরউদ্দিন বিদ্যালয়ে যোগাদানের পর থেকেই দূর্ণীতি, অনিয়ম অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যিসহ নানান অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন। একর পর এক অনিয়ম করলেও প্রশাসনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন । স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,  রিতা রানী পাল নামের এক সহকারী শিক্ষিকা প্রায় ১ বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতিত ছিলেন। অথচ ওই শিক্ষিকা অনুপস্থিত থাকলেও এক বছরের উপস্থিতি দেখিয়ে হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষক সহি স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলনের সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে জানা যায়, ইউ,সি উচ্চ মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক মনিরউদ্দিন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে শুন্য পদ ঘোষনা হওয়ার আগেই গত ২১/০৯/২০১৫ইং তারিখে রিতা রানী পাল নামের একজন সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) নিয়োগ  দেন। রিতা রানীর যোগদান পত্রে ২৪/০৯/২০১৫ইং তারিখে যোগদানের কথা থাকলেও তিনি যোগদান করেন ০১/০৬/২০১৬ইং তারিখে। কিন্তু যোগদানের ৫ দিন পর থেকেই বিদ্যালয় রোজা ও ঈদ উপলক্ষ্যে ১ মাসের বন্ধ হয়ে যায়। অথচ সুচতুর প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের সকারী শিক্ষিকা রিতা রানীর অনুপস্থিতিকে হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলোন করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে বরিশাল শিক্ষা অফিসে কাগজ পত্র প্রেরণ করেন। অবৈধ পন্থায় কাগজপত্র পাঠানোর ফলে রিতা রাণীর বেতন পাওয়া এখন প্রক্রিয়াধীন। এ ব্যপারে প্রধান শিক্ষক মনিরউদ্দিন জানান, সহকারী শিক্ষিকা রিতা রানী পাল (ইংরেজি) নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর  থেকেই নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন। ভোলা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,বিষয়টি আপনার কছে শুনেছি, ঘটনা সত্যহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তিনি ওই বিদ্যালয়ে তদন্তে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মনিরউদ্দিন ও সহকারী শিক্ষিকা রিতা রাণী পালের পক্ষেই ছাফাই গেয়েছেন বলে এলাকার অভিভাবকগন অভিযোগ করেছেন। তারা শিক্ষা অফিসারের আচরণে চরম ক্ষুদ্ধ ও হতাসাবোধ করছেন। এদিকে গত ২৫ জুলাই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছনাইন আহাম্মেদ হাছান মিয়া বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিক্ষক হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতি লিখে আসেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাছনাইন আহাম্মেদ হাছান মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে একাদিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *