Shadow

ভোলায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ॥ আহত-৩২

ভোলা প্রতিনিধি ॥ পঞ্চম ধাপে ভোলায় ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বুধবার। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৩২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ও বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী) ভোলার বিভিন্ন স্থানে এ সহিংসতা ঘটে।
জানা গেছে, পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের হাজির হাট বাজারে ২ নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ফারুকের সাথে নির্বাচিত মেম্বার মাকসুদের বাকবিত-া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা সংঘর্ষে রূপ নিয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ কর। চলে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। এ সময়ে নির্বাচিত মেম্বার মাকসুদুর রহমান নিরবসহ উভয় গ্রুপের অত্যন্ত ১৫ জন আহত হয়।
অপরদিকে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের শিকদার বাড়ির সামনে দিয়ে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী লিটন শিকদারের কর্মী সমর্থকরা মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় পরাজিত প্রার্থী শাহে আলম শিকদারের সমর্থকরা হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে দফা দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। একই সময়ে রাজাপুর ইউনিয়নেরও কয়েকটি ওয়ার্ডে নির্বাচিত ও পরাজিত মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয় আরও ৫ জন।
এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ভোলার আলীনগরে মহিলা সংরক্ষিত (৭, ৮ ও ৯) নং ওয়ার্ডের ময়ফুল নেছা (কলম প্রতিক) এর প্রতিপক্ষ প্রার্থী ছিলেন জান্নাত বেগম (তালগাছ) প্রতিক নিয়ে বিজয়ী হওয়ার পর তার লোকজন ময়ফুল নেছার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘরের দরজা, জানালা ভাংচুর করেন। এ সময় তাদের হামলায় ময়ফুল নেছার ছেলে রাকিব হোসেন ও আবুল হোসেন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় ভোলা মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।