এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা ॥ ভোলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসধুপায় অবলম্বনের কারণে ১শ’ ২২ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া ৭৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেলা-জরিমানা করা হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের নকলের সহায়তায়র অভিযোগে ২ কক্ষ পরিদর্শককে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দে থেকে আটককৃতদের এ রায় প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব নিখিল চন্দ্র হালদার জানান, স্থগিত থাকা ২০১৪ সালের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। পুরো জেলায় ১১ হাজার ৫শ’ ৮৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। ওই নিয়োগ পরীক্ষার জন্য জেলার ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার ২শ’ ১২ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। পরীক্ষা আইন অমান্য করে মোবাইল ফোন ব্যবহার সহ অসধুপায় অবলম্বের কারণে বিভিন্ন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ ১শ’ ২২ জনকে বহিস্কার এবং ৭৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা প্রদান করেন। সূত্রে আরো জানা যায়, শহরের বাংলাস্কুল কেন্দ্র থেকে ৭ জন, ওবায়দুল হক কলেজ থেকে ৪ জন, ভোলা সরকারি কলেজ থেকে ৯ জন, সরকারি ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৮ জন, ব্যাংকেরহাট স্কুল কেন্দ্র থেকে ১২জন, শহীদ জিয়া স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র থকে ১ জন পরক্ষার্থীসহ মোট ৭৯ জন আটক করেন। এর মধ্যে ২২ জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ৫৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে নারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি বলে জানা গেছে। তবে যাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে, তাদেরকে সর্বোচ্চ ১ থেকে ৩ মাস এবং বিভিন্ন মেয়াদে এ সাজা দেয়া হয়।
এদিকে এই নিয়োগ পরীক্ষায় অসধুপায় অবলম্বন করার দায়ে অভিযুক্তদের সাজা দেয়ায় জেলা প্রশাসনকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ভোলার সচেতন মানুষ। তারা বলছেন বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় যদি জেলা প্রশাসন এমন ভূমিকা রাখে, তাহলে দুর্নীতির মাধ্যমে নকলের প্রবনতা কমে যাবে।