Shadow

ভোলায় ৫ বছরের শিশু ধর্ষণ ঘটনা ৮০ হাজার টাকায় মিমাংসা করলেন আ’লীগ নেতা

মীর মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, ভোলা : ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সী গ্রামের আলোচিত ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে ধামাচাপার মাধ্যমে মিমাংসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি ইলিশা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার্দী মাষ্টারের নেতৃত্বে একদল সমাজপতি ঘটনা ধামাচাঁপার জন্য শালিস মিমাংসার উদ্যোগ নেয়। মাত্র ৮০ হাজার টাকায় শিশু ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসা করেছেন ওই সামাজপতিরা। ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে সরোয়ার্দী মাষ্টার এবং ওই ওয়ার্ডের মেম্বার শাহে আলমের ভাই কামাল সিকদারসহ বেশ কয়েকজন মিলে ওই ঘটনাটি দায়সারা ভাবে ধামাচাঁপা দেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, শিশুটি এখনো ভোলা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অথচ সরোয়ার্দী মাষ্টার এতবড় একটি ধর্ষণ ঘটনা কিভাবে ধামাচাপার জন্য উদ্যোগী হলেন। এলাকাবাসী ধর্ষক মুবিনের বিচার দাবী করছেন। উল্লেখ্য, ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধায় ওই শিশুটি তার ঘরে টিভি দেখছে। এসময় একই এলাকার বাগন আলীর লম্বট ছেলে মুবিন ফুসলিয়ে তার বাসায় নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটিকে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসায় তার অবনতি হলে মূমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই দিন শিশুটির মা বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। তবে শিশুটির পিতা এ ব্যপারে কোন কিছু জানাতে রাজি হয়নি। সরোয়ার্দী মাষ্টার জানান, তারা নিজেরাই মান সম্মানের কথা বিবেচনা করে মিমাংশার উদ্যোগ নিয়েছে। কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয়নি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ হাছনাইন আহম্মেদ হাছান মিয়া জানান, শিশু ধর্ষণ ঘটনা স্থানীয় চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বারগন মিমাংসার এখতিয়ার রাখে না। কেউ এ জাতীয় উদ্যোগ নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, এ জাতীয় ঘটনা মিমাংসাযোগ্য নয়। থানায় মামলা আছে এবং আসামীকে গ্রেফতারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *