মীর মোহাম্মাদ গিয়াসউদ্দিন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে ভোলার রাজনৈতিক অঙ্গন। তৃণমুলে দৌরঝাঁপের পাশাপাশি কেন্দ্রে বাড়ছে লবিং তদবির। প্রার্থীতা জানান দিতে ইতিমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে নেমে পড়েছেন।
আগামী ১১ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা সদর – ১ আসন থেকে আ:লীগের মনোনয়ন পাওয়ার আশায় আটঘাট বেধে মাঠে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ব্যক্তি, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনতা ব্যাংকের পরিচালক মাহাবুবুর রহমান হিরণ । এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তবে তোফায়েল আহমেদের এ আসনে হানা দিতে মাহাবুবুর রহমান হিরণ মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। পুরনোকে হটিয়ে স্থলাভিষিক্ত হতে চাইছেন রাজপথ কাঁপানো যুবলীগের হেভিওয়েট এই নেতা।
সুত্রে জানাগেছে, মাহাবুবুর রহমান হিরণ পূর্ব পুরুষের আমল থেকে আ:লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত । ভোলার প্রথম পৌর মেয়র থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় রাজনীতির মাঠে তাদের অবস্থান উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘ বছর যুবলীগের গুরুত্বপুর্ন পদে থেকে তিনি অত্যান্ত বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রাজনীতির মাঠে বড় পদের অধিবারী কিংবা দুটি ব্যাংকের পরিচালকেরর দায়িত্বে নিয়োজিত থাকলেও সততার পথ থেকে তিনি বিচলিত হন নি। ভোলার মানুষের সেবা করার প্রত্যয় ছিলো তার সবসময়ই । তাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির পাশে দাড়িয়েছেন নিঃস্বার্থ ভাবে। নদী তীরের মানুষকে প্রতি ঈদে শাড়ী-লুঙী, নগদ টাকাসহ সহযোগিতা করে আসছেন। আ,লীগের অধিকাংশ মানুষ জানায়, ভোলা – এক আসনে আ:লীগ আজ চরম বিভাজনে পরিনত হয়েছে। আ’লীগের এক হেভিওয়েট নেতার এককভাবে প্রভাব বিস্তারের কারণে আজ ভোলা-১ আসনের এই পরিস্থিতি । তাই আগামী নির্বাচনে বিজয় অর্জন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে এখানে মাহাবুবুর রহমান হিরণ এর মত সাহসী নেতাকে মনোনয়ন দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন এখানকার দলীয় নেতা-কর্মীরা।
মনোনয়ন পাওয়ার জন্য হিরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আ’লীগের নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিদের সাথে যোগাোযগ রক্ষা করে চলছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারনা।
এদিকে তৃণমুলের নেতা-কর্মীরা আক্ষেপ করে বলেন, ভোলার তৃণমূলের ত্যাগী নেতা কর্মীরা ওই এক নেতার কারণে আজ তারা উপেক্ষিত। তারা আ:লীগ করেও প্রতিহিংসার স্বীকার । তাই এই আসনে আ’লীগের নতুন প্রার্থী চাচ্ছেন তারা।