Shadow

ভোলা থানার এস.আই কামালের বিরুদ্ধে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ

মীর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ভোলা। ভোলা সদর মডেল থানার এস. আই কামালের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র জানান, এস.আই কামাল, মামলা তদন্তকারী কর্মকতা নিয়োগের পর থেকে নামের মাত্র বাদীকে খুশি করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। তার আসল উদ্দেশ্য হলো আসামীদের আয়ত্বে আনা। ফলে বাদী তার কাছ থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা পায়না বলে তারা জানান। এমন অনেক মামলার নজির এখন ভূক্তভোগীদের মুখে মুখে। ভোলা সদর থানা মামলার নং ৫৫/ ২৪৬ মামলার বাদী ছামছুদ্দিন সিকদার, অভিযোগ করে বলেন, আসামী গ্রেপ্তারের পূর্বেই এস. আই কামাল তাদেরকে আগাম খবর জানিয়ে দেন। এই ভাবে কয়েকবার লোক দেখানো অভিযান চালায় সে। কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি। গত ২৪/০৫/২০১৭ ইং তারিখে এস. আই কামাল আসামী ও বাদীর কাছ থেকে প্রায় ৭০,০০০ হাজার টাকা ঘুষবাণিজ্য করেন। স্থানীয় ইব্রাহীম মাষ্টার, শাহে আলম সিকদার, আঃ মালেক সিকদার, আলাউদ্দিন সিকদারসহ গণ্যমান্যদের কাছে মামলার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানান, মামলার আয়ু এস.আই কামাল বলেন, গন্যমান্য ব্যক্তিগনদেরকে নিয়ে নারী নির্যাতন মামলা এলাকায় বসে মিমাংশা করে দেন। অপরদিকে মামলার আয়ু এস. আই কামাল আসামীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা বাণিজ্য করেন তা নয় বাদী ছামছুদ্দিন সিকদারের কাছ থেকেও এস. আই কামাল ৫০,০০০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। এভাবে বিভিন্ন মামলার আসামীদের সাথে সক্ষ্যতা গড়ে তুলে প্রতিনিয়ত মোটা অকেংর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে তারা জানান। এস. আই কামালের ঘুষবাণিজ্যের কারনে, মামলার বাদীরা যেভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে, তেমনি আসামীরাও অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। ছামছুদ্দিনের মতো এমন অসংখ্য বাদীকে হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন চরজাঙ্গালিয়ার ৭ নং ওয়ার্ডের আবু ছায়েদ বাদী হয়ে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এস.আই কামালের নিকট অভিযোগ নিয়ে আসলে এস.আই কামাল ঘটনাস্থলে যান। এই সময় ৭নংওয়ার্ডের মেম্বার মাকসুদুর রহমান এস. আই কামালের সাথে কথা বলতে চাইলে এস.আই কামাল উত্তেজিত হয়ে যান। একপর্যায় এস.আই কামাল মাকসুদ মেম্বার কে গুলি করার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম এস. আই কামালের জানতে চাইলে সাংবাদিক ফরিদুল ইসলামকেও কোন কথা বলার আগে গুলি করার হুমকি দেয় এবং বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দামার সাথে জড়িত করে দিবে বলে ভয়ভিতী দেখিয়ে চলে যান। এস. আই কামাল এর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে এস.আই কামালের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কোন ঘুষ বাণিজ্যের সাথে জড়িত নই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *