Shadow

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরী বিকল ॥ বিপাকে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা ॥ আটকা শত শত যানবাহন

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচলকারি ফেরি বিকল হয়ে যাওয়ায় দুই পাড়ে গত ৩ দিন ধরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। ঘাটে ২/৩ দিন অপেক্ষা করেও ফেরীর দেখা পাচ্ছেন না তারা। তিনটি ফেরীরস্থলে একটি ফেরি হঠাৎ বিকল হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে দুইটি ফেরী চললেও দুই পাড়ে কয়েক শত যানবাহনে র্দীঘ লাইন পাড়াপাড়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। এতে করে পন্যবাহি যানবাহনগুলো প্রতি দিন কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুনছে।
স্থানীয়রা জানান, দ্বীপজেলা ভোলার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরী সার্ভিস। দেশের দীর্ঘতম এ ফেরীর রুট দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক, মালবাহী পরিবহন ও বাস চলাচল করছে। এ রুটে ৩টি ফেরি চলাচল করলেও গত ৩ দিন আগে হঠাৎ করে কিষানী নামের ফেরিটি বিকল হয়ে যায়। জরুরী ভিত্তিতে তা মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। যার ফলে দুই পাড়ে এক কিলোমিটারের বেশী যানবাহন র্দীঘ লাইনে আটকা পড়ে রয়েছে। এতে করে চরম পরিবহন শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।
বাস শ্রমিক লোকমান, মিজান জানান, তারা ৩ দিন ধরে ইলিশা ফেরিঘাট ট্রাক নিয়ে আটকা রয়েছে। তাদের ফেরিঘাটে থাকা, খাওয়া-দাওয়া, টয়লেট করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন তাদের লাখ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। এ ছাড়াও অন্য যে দুইটি ফেরি রয়েছে তাও জোয়ারের পানির চাপ বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের  কারণে সময় মতো চলাচল করতে পারছে না।
বর্তমানে চলাচলকারী কুসুম কলি ফেরি মাষ্টার আবদুল মোক্তাদির জানান, মেঘনার তীব্র স্রোতের  কারণে বর্তমানে তাদেও ফেরিও আগের চেয়ে কম ট্রিপ দিচ্ছে। এ ছাড়াও মেঘনার জোয়ারের পানিতে ইলিশা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে থাকায় গাড়ি উঠা নামা করতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিলম্ব হয়।
আবুল কালাম, নাছির, মিজান, মালেক এবং স্থানীয়রা অভিযোগে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের গুরুপ্তপূর্ণ এ রুটটিতে ৪টি ফেরীর প্রয়োজনীয়তা থাকলেও কখনও ২টি কিংবা ৩টি ফেরী চলাচল করছে। এতে একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছেন এ রুটের যাত্রীরা ও পরিবহন শ্রমিকরা। নিবিঘে যানবাহন চলাচলের জন্য দ্রুত আরো ২টি ফেরি দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিটিসির ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরী সার্ভিসের ব্যবস্থাপক আবু আলম বলেন, যানজট নিরসনে খুব শিঘ্রই ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে আরো একটি ফেরী দেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে কবে নতুন ফেরি এ রুটে যুক্ত হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *