Shadow

ভোলা- ২ আসনে বিতর্কিতদের নিয়ে আ.লীগ-বিএনপির নতুন নেতাদের পদচারণায় তৃণমুলে ক্ষোভ ।

ভোলা প্রতিনিধি : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আ.লীগ-বিএনপির নতুন নতুন সম্ভাব্য সাংসদ প্রার্থীদের পদচারণায় নির্বাচনী আবহ তৈরী হচ্ছে। দুই দলের সাবেক ও বর্তমান সাংসদ এর নিয়ন্ত্রণে রাজনীতি ও নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ব থাকলেও নতুন নেতারা তাদের নিয়ন্ত্রণ রেখার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা চালাচ্ছে খুব জোরেশোরে। তবে নিজ নিজ নির্বাচনী মাঠে প্রবেশের পূর্বেই এসব নতুন নেতাদের উপর ভর করছে দু দলের মধ্যে থাকা বিতর্কিত – বহিস্কৃত এবং মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা। এসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের উপর ছওয়ার করেই নতুন নেতারা এমপি হওয়ার সপ্ন দেখছে।
জানাগেছে, ভোলা- ২ আসন দৌলতখান – বোরহানউদ্দিন থেকে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছেন বিএনপির নির্বাহি  কমিটির  সদস্য ও সাবেক  এমপি আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহীম। তার বাহিরে তারেক রহমান আন্তর্জাতিক পরিষদ ইউএসএর সভাপতি এবং ভোলা জেলা বিএনপির সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙীর এম আলম। বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক। জাহাঙীর  এম আলম নির্বাচনী মাঠে সরাসরি প্রচারণায় না থাকলেও কেন্দ্রীয় ভাবে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যপারে  তদবীর  চালিয়ে আসছেন। আমিনুল হক রাজনীতিতে নতুন  ব্যক্তি। রাজনীতির মাঠে কোনরকম দুরদর্শীতা না থাকলেও সাবেক  খেলোয়ার পরিচয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির একটি পদ পেয়ে তিনি যেন বিশাল রাজনৈতিক ব্যক্তি  বনে গেছেন। পদ পাওয়ার সুবাদে তিনি আবার ভোলা – ২ আসন থেকে নির্বাচন  করতেও চান।  তার সাথে তৃণমুল নেতাকর্মীর যোগাযোগ না থাকলেও দৌলতখানের বেশ কয়েকজন বিতর্কিত -বহিস্কৃত এবং মাদক ব্যবসায়ীর উপর ভর করে মাঠ গোছানোর চেষ্টা  চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে দৌলতখান উপজেলা বিএনপির সাবেক বিতর্কিত ও বহিস্কৃত  সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন হাওলাদার,আঠা জসিম,প্রতারক লিটন ও বাংলাবাজার উওর দিঘলদীর কুখ্যাত মাদক সম্রাট মানজুর বিশ্বাসসহ কয়েকজন কাজ করছে। এসব ব্যক্তি সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহীম এর কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এসব ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে ঘৃণিত  ব্যক্তি  হিসাবে সমাজে পরিচিতি  লাভ পেয়েছে। এরা সবকুল হরিয়ে নতুনদের পিছু  নিচ্ছে । গত ৮ মে আমিনুল হক এসব বিতর্কিত  ব্যক্তিকে নিয়ে দৌলতখানে গেলে সেখানে তৃণমুল  কর্মীরা ধাওয়া করলে পালিয়ে আসে আমিনুল হকরা।
অপরদিকে আ.লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান  সাংসদ আলী আজম মুকুল । তার বাহিরে মনোনয়ন  চাচ্ছেন নবম জাতীয় সংসদ  নির্বাচনে তৎকালীন চারদলীয়  জোট থেকে ধানেরশীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন  করেছিলেন নাজিউরপুত্র আশিকুররহমান শান্ত। তিনি চারদলীয় জেট থেকে নির্বাচন করলেও পরবর্তীতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কোন খোজ খবরই রাখেন নি। কয়েকবছর পর হঠাৎ আবার নৌকা প্রতিক নিয়ে আ.লীগ থেকে নির্বাচন করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার -প্রচারণা চালাচ্ছেন। এখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে  মাঠে প্রবেশের  চেষ্টা  চালাচ্ছেন। তবে তার এ প্রচার -প্রচারণায় ক্ষুদ্ব তৃণমুল  নেতা-কর্মীরা। তৃণমুল  নেতা কর্মীরা  আক্ষেপ করে জানান, দৌলতখান  – বোরহানউদ্দিনে আগের তুলনায় আ.লীগ এখন অনেকটাই শক্তিশালী এবং সক্রিয় । এটা শুধু বর্তমান  সাংসদ আলী আজম মুকুল  ভাইয়ের কারণেই হয়েছে । মুকুল  ভাইর সাজনো মাঠে  নতুন  নেতা নির্বাচন  করবে এটা কোনদিনই হবেনা। তারা এসব নতুন নেতাদের কাউয়ার সাথে  তুলনা করে বলেন,এসব নেতাদের  তৃণমুলে চরমভাবে প্রতিহত  করা হবে।
এদিকে আ.লীগের মধ্য থেকেও কয়েকজন  বিতর্কিত  ব্যক্তি আশিকুর রহমান শান্তর কাধে হাত মিলিয়ে ফায়দা নিচ্ছে। তারা বর্তমান এমপির কাছ থেকেও সুবিধা নিয়ে এখন নতুনদের থেকে সুবিধার পিছনে হাটছে। তবে বিতর্কিতরা যাই করুক,দু দলের তৃণমুল নতা-কর্মীরা বলছে,আগামী নির্বাচনে ভাসমান নেতাদেরকে নির্বাচনী  মাঠে  প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। যে কোন মুল্যে
এদেরকে প্রতিহত  করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *