ণিউজ দেস্ক : বাংলাদেশের পুলিশ সে দেশের চাঞ্চল্যকর নুসরাত জাহান হত্যার সাথে সম্পর্কিত এক মামলায় গত রোববার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি ঈদের আগে থেকে নিজের কর্মস্থল থেকে ফেরার ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর তাকে আটক করা হলো।
গত ১৫ই এপ্রিল মি. হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পিবিআই তার তদন্তে নুসরাত জাহানের জবানবন্দি রেকর্ড করে সেটা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে।
তবে মি. হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা
Image caption
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা
আরো পড়তে পারেন:সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে নিয়ে পুলিশ যা বললো নুসরাত জাহান: যে মৃত্যু নাড়া দিয়েছে সবাইকে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার মা গত ২৭শে মার্চ সোনাগাজী থানায় স্থানীয় ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ঐ অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে।
ঐ ঘটনার তদন্তে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জিজ্ঞাসাবাদের নামে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করেন এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন।
পিবিআই-এর এএসপি রিমা সুলতানা এর আগে বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, “তদন্তের সব তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই শেষে ওই ওসির বিরুদ্ধে থানায় বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়াসহ প্রত্যেকটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।”
নুসরাতের কবরছবির কপিরাইটশাহাদাত হোসেন
Image caption
নুসরাতের কবর গত ৬ই এপ্রিল আলিম পরীক্ষার একটি বিষয়ে মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাত জাহানকে ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চারদিন পর তিনি মারা যান।
ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রেফতারে বিলম্ব নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরকারের নানা রকম সমালোচনা চলছিল।