ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা সদর মডেল থানার এস.আই মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা হলেই তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের পর থেকে নামে মাত্র বাদীকে খুশি করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সে। আসল উদ্দেশ্য হলো আসামীদের আয়াত্ত্বে আনা। ফলে বাদী তার কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগীতা পায় না। এমন অনেক মামলার নজির এখন ভূক্তভোগীদের হাতে হাতে। ভোলা থানার মামলা নং- জিআর ১৯/৪২৩। এই মামলার বাদী সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম। সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের পূর্বেই এস.আই মোক্তার হোসেন তাদের আগাম খবর জানিয়ে দিতেন। এভাবে কয়েকবার লোক দেখানো অভিযান চালায় সে। কিন্তু কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বরং গত ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ইং তারিখে ওই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন। অভিযোগপত্রে মোক্তার হোসেন ৪ জন আসামীর অপরাধ ১ জনের উপর এনে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। এতে মামলার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিতবাদী ফরিদ। জানা গেছে, আসামীদের কাছ থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে দারোগা এমন কাজ করছেন। মোক্তার হোসেন শুধু যে আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কাজ করে থাকেন তা নয়, বাদী ফরিদের কাছ থেকেও অভিযোগপত্র দেওয়ার জন্য তাকে ২০ হাজার টাকা দাবী করেছেন। বাদী ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। এভাবে বিভিন্ন মামলার আসামীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । ফলে তার চরম ঘুষবাণিজ্যের কারণে মামলার বাদীরা যেভাবে হয়রানীর শীকার হচ্ছে, তেমনি আসামীরাও এসআই মোক্তারের কারণে অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। ফরিদের মতো অসংখ্য মামলার বাদীকে হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে মোক্তারের বিরুদ্ধে। উত্তর দিঘলদী চরকুমারিয়া এলাকায় একটি মামলা থেকেও আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করছেন। ফলে আসামীরা আদালতে হাজির হওয়ার সাথে সাথে জামিন পেয়ে যায়। এ ভাবে তার ঘুষবাণিজ্য চলছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। এব্যাপারে এসআই মোক্তার হোসেন জানান, তিনি কোন ঘুষবাণিজ্যের সাথে জড়িত নন। কোন আসামীর সাথে সখ্যতা নেই।