প্রয়াস বার্তাকক্ষ : মিতু হত্যা রহস্য তার স্বামী এসপি বাবুল আক্তারের অন্যতম সোর্স মুছাতেই আটকে আছে।
এ মামলার আসামি ও পুলিশের ভাষ্য, মুছাই জানে এ খুনের নেপথ্যে কে বা কারা। কিন্তু মুছারই হদিস নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জালেই মুছা আছে এমন গুঞ্জন থাকলেও এ খবর উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
তারা বলছেন, মুছা ও অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
এদিকে, গ্রেপ্তার ভোলা ও মনিরের রিমান্ড শুনানি বৃহস্পতিবারও হয়নি।
মিতু হত্যায় গ্রেপ্তার ওয়াসিম ও আনোয়ারের বক্তব্যে উঠে আসে বাবুল আক্তারের অন্যতম সোর্স মুছার নাম।
পুলিশও বলছে, খুনের আদ্যোপান্ত জানে মুছাই কিন্তু সেই মুছাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও আনোয়ার ও ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশের ইঙ্গিত ছিল মুছাসহ অন্য আসামিরা তাদের জালেই আছে।
জবানবন্দিতে আনোয়ার ও ওয়াসিম বলেছে, হত্যার আগের দিন মুছার বাসায় ঘুমায় তারা। খুনের পর মুছার মোটরসাইকেলে করেই পালিয়ে যায় ওয়াসিম ও নবী। খুনের জন্য মুছা তাদের প্রত্যেককে এক হাজার করে টাকা দেয়। এসব বক্তব্যে প্রমাণ হয় এই খুনের পরিকল্পনাকারী কে তা মুছাই বলতে পারবে।
মুছা ও অন্যান্য আসামিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে সেজন্য বিমান ও স্থলবন্দরে বিশেষ সতর্কতা পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে মামলার তদন্ত অনেকটাই শেষ হয়ে আসবে।
গত ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।