Shadow

মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা ॥ অভিযান নিয়ে প্রশ্ন জেলেদের, ভোলার মনপুরায় হোম ডেলিভারী সার্ভিসে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ।

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলার মনপুরার মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে রাতের আঁধারে মা ইলিশ শিকার করছে অসাধু জেলেরা। আর সেই মা ইলিশ আবার হোম ডেলিভারী মাধ্যমে গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে প্রভাবশালী একটি চক্র। এতে নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ শিকার করায় প্রকৃত ইলিশ জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেঘনায় তিনটি দলে ভাগ হয়ে মেঘনায় মা ইলিশ শিকার করছে প্রভাবশালী জেলেরা। একদল নদীর পাড়ে অবস্থান নেয় কখন কোন পাশের নদীতে অভিযান নামবে প্রশাসন। আরেক দল জাল ও নৌকা নিয়ে মেঘনায় নির্বিঘেœ মা ইলিশ শিকার করা। শেষ দলের কাজ হলো জেলেদের ধরা মা ইলিশ হোন্ডাযোগে হোম ডেলিভারী মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া।
এদিকে সোমবার সকালে মৎস্যজীবি নেতা জাহাঙ্গীর মাঝি ও সাইফুল মাঝির নেতৃত্বে একদল মাঝি মনপুরা প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে একদল প্রভাবশালী আড়তদারদের মাছ বিক্রি করা অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মা ইলিশ শিকার করছে প্রতিনিয়ত। এই সময় জেলেরা অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোম ডেলিভারী দেওয়া এক সদস্য সূত্রে জানা যায়, নদীর পাড় থেকে জেলেদের শিকার করা ইলিশ নিয়ে গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া। তবে গ্রাহকের সাথে মোবাইল ফোনে দাম ও কত হালি ইলিশ লাগবে তা নির্ধারন করা হয়, পরে ভোর রাতে গ্রাহকের চাহিদা মতো ইলিশ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এখন ইলিশের দাম কত এমন প্রশ্নে ওই ডেলিভারী সদস্য জানান, প্রতি হালি (৪টা) ইলিশ এক হাজার পাঁচশত টাকা থেকে দুই হাজার টাকা। প্রতিটি ইলিশের ওজন এক কেজি দুইশত গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের। তবে প্রত্যেকেটি ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল গাফফার জানান, মেঘনায় অভিযান চলছে। তবে অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা জানান, মনপুরার চারপাশে মেঘনা। তাই মেঘনায় অভিযান কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তবে ৩টি টিম অভিযান করছে। অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *