Shadow

যাত্রী দূর্ভোগ চরমে রামগতি দৌলতখা নৌ-রুটে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার দৌলতখা নৌ-রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী জাহাজ বে-ক্রুজ এর ইজারাদার ফয়সল ও ঘাট মালিক শোয়াইব এ দুজনে মিলে কুট-কৌশল করে নাব্যতা সংকট, কারিগরী ত্রুুটি ও কৌশলগত কারণ দেখিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে এ রুটে চলাচলকারী শত শত লোক। ঘাট মালিক ও জাহাজ ইজারাদারের যোগসাজসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে ছোট ডিঙি, জেলে নৌকা, মাছ ধরার ট্রলারে ঝুকিতে করছে যাত্রী পরিবহন।
জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ বৈরি আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকায় মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধরনের নৌযান চলাচলের অনুমোদন দেয়া হয়। রামগতি দৌলতখা নৌ-রুটের ঘাট মালিক শোয়েব খন্দকার ও বে-ক্রুজ জাহাজের ইজারাদার ফয়সল মিলে কৌশলে অতিরিক্ত লাভের আশায় ছোট ডিঙি, জেলে নৌকা, মাছ ধরার ট্রলারে ৪০০/৫০০ টাকা অতিরিক্তি ভাড়া আদায় করে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। এ দুজনের লোভে এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা পড়েছে চরম দূর্ভোগে ও উচ্চ নৌ ঝুকিতে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বে ক্রুজ জাহাজটি কারিগরী সমস্যা, নাব্যতা সংকট ও টবর করতে না পারার কারণে এ রুটে চলাচলের উপযুক্ত নয়। এ নিয়ে মাষ্টার পাইলটের সাথে বাকবিতন্ডা হয়ে ইজারাদার জাহাজটি বন্ধ রাখে।
উল্লেখ্য যে, ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ ৮ মাস সময়ে সাগর উত্তাল থাকায় এ সময় মেঘনা নদীর মোহনার নৌঘাট সমূহে চলাচলকারী নৌযান সমূহকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে এ সময়কালকে উচ্চ নৌঝুকিপূর্ণ সময় হিসেবে চিহিৃত করা হয়। বৈরি আবহাওয়া ও দূর্যোগকালীন সময় থাকায় সাগর উত্তাল থাকে। এ সময় যাত্রী পারাপারে সী-ট্রাক ও সী সার্ভে সনদধারী নৌযান চলাচলের অনুমোদন করা হয়। এ সব সী-ট্রাক ও নৌ-যান ব্যতিরেকে অন্য কোন নৌযান চলাচল করতে পারবে না। একই সাথে ছোট ডিঙি, জেলে নৌকা, মাছ ধরার ট্রলারে যাত্রী পরিবহন সব সময়ই নিষিদ্ধ থাকে।
সাগর মোহনা ও সাগর সংলগ্ন মেঘনা নদীকে উচ্চ ঝুকিপূর্ণ নৌঘাট হিসেবে চিহিৃত করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এ জোনের আওতা লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী ঘাট থেকে আলেকজান্ডার ঘাট পর্যন্ত। উপকূলের এ নৌরুটটিতে ৭ মাসের জন্য এম এল টাইপের লঞ্চ চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নৌ মন্ত্রনালয়।
কোন বৈধ নৌযান না থাকায় বাধ্য হয়ে শিশু, বৃদ্ধ, নারীরা উপায়হীন ভাবে বৈরি আবহাওয়া ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধ নৌযানে চলাচল করছে মানুষ।
সাধারণ যাত্রীরা জানান, জরুরী প্রয়োজনে এবং সময়মত নৌযান না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুকি নিয়ে পার হচ্ছি। এখন দূর্যোগের মৌসুম। যে কোন মুহুর্তে বইতে পারে কালবৈশাখী তবুও জীবনের ঝুকি নিয়ে চলছি। বৈধ লঞ্চ না দিলে যাত্রীদের দূর্ভোগের সীমা থাকবেনা।
বে ক্রুজ জাহাজের ইজারাদার এফ এইচ খায়রুজ্জামান ফয়সল বলেন, আমি বে ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল লি: নামের জাহাজের ইজারাদার। অবৈধ নৌকায় কে কারা যাত্রী পরিবহন করছে তা আমার জানা নেই।
ঘাট ইজারাদার এম শোয়াইব হোসেন খন্দকার বলেন, অবৈধ নৌযানে যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে আমার জানা নেই।
বে ক্রুজের মাষ্টার পাইলট নুরুল আলমের কাছে এ বিষয়ে জানার জন্য ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ পোর্ট অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানতাম না এখন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি।