রামগতি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এক কৃষি শ্রমিককে কৃষিজমি, সহায় সম্পত্তি দখলের পর ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, চর রমিজ ইউনিয়নের চর মেহার গ্রামের দরিদ্র কৃষি শ্রমিক ছায়েদল হকের ছেলে আজাদ উদ্দিন বাপ দাদার বৈধ ওয়ারেশী সম্পত্তিতে বসত করে আসছিলেন। বিগত ৬০ বছর থেকে আজাদ ও তাদের পূর্ব পূরূষরা উক্ত ভূমিতে বৃক্ষরাজি সৃজন করে ভোগ দখল করে আসছে। গত কয়েক বছর থেকে তার কৃষি জমি দখলের পর অবশেষে তার বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হলো জোরপূর্বক।
স্থানীয় সংঘবদ্ধ জোরদার চক্র একই গ্রামের আজহার উদ্দিনের ছেলে জাহের, সিরাজ উদ্দিনের ছেলে রাসেদ, তাজল হকের ছেলে কাইযুম, আজহার উদ্দিনের ছেলে স্বপন ও রিয়াজ, সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জাবের ও জুয়েল মিলে আজাদকে তার বৈধ সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করেন।
ভুক্তভোগী সব হারিয়ে এবার শ্রমিক বনে যাওয়া ব্যক্তি বর্তমানে স্ত্রী এবং বিধবা এক কন্যা ও তার একটি সন্তান সহ পলিথিনের ছাপড়া ঘর তুলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার ঘরটি সংস্কার করতে দেয়া হচ্ছেনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরের খুটিও অন্যান্য সামগ্রী খোলা আকাশের নীচে পড়ে আছে।
নালিশীয় উত্তরাধীকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি তার নামে দলিল, রেকর্ড, দাখিলা থাকা স্বত্ত্বেও ভোগ দখল থেকে তাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে জোরপূর্বক। বিভিন্ন যায়গায় উক্ত সম্পত্তি নিূেয় মামলা করে তার পক্ষে রায় পাওযার পরও আজাদ তার বৈধ মৌরশী সম্পত্তি থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত।
ক্যাম্প ডিয়ারা রিভিশন তার নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে। দখলকারীরা সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ার আদালতের রায়, সামাজিক শালিশের রায় থাকা স্বত্ত্বেও আজাদ ও তার ওয়ারীশগনকে তাদের বৈধ ৫৬.২৬ ডিং নালিশীয় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত।
স্থানীয় জাহানারা বেগম , খোকন সহ কয়েক জন বলেন আমরা আজাদ ও তার পূর্ব পুরূষদের এ জমিতে প্রায় ৫০ বছর থেকে বসত করে আসতে দেখেছি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার বলেন, বিবাদীদের এ বিষয়ে নোটিশ করলে তারা হাজির হয়নি।
ভূক্তভোগী কৃষি শ্রমিক আজাদ ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।