Shadow

রামগতিতে মাদকসেবীদের নির্যাতনের শিকার বিধবা আনজুমা

রামগতি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আনজুমা বেগম (৬০) নামের এক বিধবা নারী মাদকসেবীদের নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় চর বাদাম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চর সীতা গ্রামে একটি খুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন আনজুমা। এলাকাটি থানা থেকে দূরত্বে হওয়ায় সেখানে গড়ে উঠে মাদকসেবীদের আখড়া। তারা রাতের বেলা মদ, জুয়া সহ নানান অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। বিধবা আনজুমার ঘরের উঠানে এই আসর বসানোর প্রেক্ষিতে মাদকসেবীদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। এতে করে বিধবা আনজুমা ও তার একমাত্র কন্যার উপর নেমে আসে সীমাহীন নির্যাতন।
তাদের নির্যাতনের অতিষ্ট হয়ে আনজুমা ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় গত কয়েকদিন আগে ৬ জনের নাম ইল্লেখ করে রামগতি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আনজুমা বেগম ঐ গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের স্ত্রী ।
মামলার সূত্রে জানা যায় , চর সীতা গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম এবং একই এলাকার মারফত উল্যাহ মো: কবির হোসেন ওরপে মরন, ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আলমগীর, কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের রুহুর আমিনের ছেলে মো: নিজামউদ্দিন, কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের সাবু বেপারীর ছেলে জাফর, কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের সামছল হকের ছেলে মুসলিম সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন দ্বীর্ঘদিন থেকে মাদক সেবন ও ব্যবসা করে আসছেন আনজুমার ঘরের আঙিনায়।
আসামীরা দ্বীর্ঘদিন থেকে আনজুমাকে তার মেয়েকে নিয়ে নানান ধরনের অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তারা তার ঘরের আঙিনায় বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য মজুদ করে এবং যুবতি মেয়েকে নিয়ে অনতিক প্রস্তাব দিলে না মানায় সন্ত্রাসীরা তার ঘর ভেঙ্গে দেয় এসময় মেয়েকে বিবাহের জন্য দেয়া গ্রামবাসীর চাাঁদার ২০ হাজার টাকা, ১ টি গলার চেইন, ১ টি আংটি ও ১ জোড়া কানপাশা নিয়া যায়। তারা রাতের অন্ধকারে আনজুমার ঘরের চারপাশে মলত্যাগ করে রেখে যায়।
বর্তমানে অন্যের ঘরে বসবাস করছেন তিনি। মাদকসেবীরা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
সন্ত্রাসীরা তার সাক্ষীদেরকে নানান ভাবে হয়রানি করে আসছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভূক্তভোগী আনজুমা আরো বলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী বিষয়টি জানেন। আমি বর্তমানে চরম আতংকে দিনাতিপাত করছি।
স্থানীয় আবদুল মজিদ ,রশিদ , আব্বাস ,কুলছুম ,বিবি জলেখা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপরাধীরা প্রভাবশালী ও অপরাধী শ্রেণীর হওয়ায় তাদের বিরূদ্ধে কেউ কোন কথা বলছেনা।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মো : ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা আনজুমার লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছি। অপরাধ নির্মূলে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: জসিম উদ্দিন বলেন, এলাকাটি একটু রিমোট হওয়ায় অপরাধেিদর জন্য অভয়াশ্রম তবে আমরা অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা নেবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *