Shadow

রামগতিতে শিক্ষা বিভাগে চলছে ভয়াবহ লুটপাট ও দূর্ণীতি

রামগতিতে শিক্ষা বিভাগে চলছে ভয়াবহ লুটপাট ও দূর্ণীতি
রামগতি(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে শিক্ষা খাতে ভয়াবহ লুটপাট ও দূর্নীতির ব্যপক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্বংশ্লিষ্ট সূত্র মতে জানা যায় স্কুলের পাঠদান টেন্ডার জালিয়াতি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী,বদলী বানিজ্য, সøীফ ফান্ডের টাকার ব্যপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মোট ৯৬ সরকারী প্রাথমিকের সøীফ ফান্ডের বিল ভাউচার স্বাক্ষর করতে ইউডি নুর আলম, সহকারী শিক্ষা অফিসার মুজিবুর রহমান ও সহকারী শিক্ষা অফিসার কাউছার মিলে প্রতিটি স্কুল হতে ১২০০/১৫০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি নদী ভাঙ্গনের ও অন্যান্য সমস্যার কারনে উপজেলার ৪ টি সরকারী প্রাথমিকের ভবন নিলাম দেওয়া হয়েছে। নিলাম দেওয়া নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা করেছেন তুঘলকি কারবার। নামমাত্র মূল্যে দেওয়া এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রতিটি পদক্ষেপে করেছেন মারাতœক দূর্নীতি। এছাড়াও টেন্ডার দেওয়ার আগেই জনৈক ঠিকাদার ওয়ারেছ চর সেভেজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভেঙ্গে নিয়ে পার্শ¦বর্তী এলাকায় আরেকটি নতুন স্কুল নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে।
নিলাম দেওয়া চর সেভেজ সপ্রাবি, পূর্ব চর আালগী সরকারী প্রা: বি:, চর গেছফার সরকারী প্রা: বি: ও আবদুল ওয়াহেদ সরকারী প্রা: বিদ্যালয়ের ভবনগুলো সরকারী দলের ছত্রছায়ায় নিলাম দিয়েছেন নামমাত্র মুল্যে। এছাড়াও টেন্ডার আহবান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, টেন্ডার দাখিল থেকে প্রতিটি পদক্ষেপে করেছেন পুকুর চুরি। সরকারকে বিশাল আর্থিক ফাঁকি দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটা করেছেন তিনি নিজের পকেট ভারী করার জন্য। এখাত থেকে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মককর্তা আইয়ুব আলী লুটে নিয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকা।
রামগতিতে কর্মরত শিক্ষা খাতের কর্মকর্তারা ব্যস্ত রয়েছেন লুটপাট আর নিজেদের আখের ঘোছাতে। তাদের ভয়াবহ লুটপাট আর দূর্নীতির কারণে কোন প্রাথমিকের শিক্ষক ক্লাস করেনা। যা স্কুলে আসেন তাও শুধুমাত্র বেতন তোলার জন্য।
টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন স্কুল চর সেভেজ স: প্রা: বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় ১ জুন’২০১৭ ইং তারিখে কার্যাদেশ ছাড়াই স্কুলের ভবন ভেঙ্গে নিয়ে গেছে ঠিকাদার ওয়ারেছ। শিক্ষা কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন তিনি সেদিন পর্যন্তও কার্যাদেশ দেন নাই।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মককর্তা আইয়ুব আলীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টা নিয়ে ঝামেলার মধ্যে আছি, এ বিষয়টা উপজেলা চেয়ারম্যান দেখেনতো তাই বেশী কিছু বলতে পারছিনা।
বিজ্ঞজনরা এমনটা দাবী করছেন প্রাথমিকের কর্মকর্তাদের উপর গণ মানুষের কোন আস্থা নেই তাই জেলা প্রশাসনের নিকট তাদের আবেদন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
সচেতন মহলের দাবী জীবনের বুনিয়াদ প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা থেকে রামগতি উপজেলার শিশুদের রক্ষা করে এই মহা দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *