Shadow

লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কমলনগর উপজেলা ।

নিজেস্ব প্রতিবেদন : লক্ষ্মীপুরে কমলনগর উপজেলা বর্ষা না আসতে মেঘনার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ভয়াবহ। হুমকির মুখে রয়েছে ওই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের বসত বাড়ি। ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও ভিটামাটি রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছে কমলনগর উপজেলাবাসী। বিক্ষোভ মিছিল,মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছে সর্বস্তরের মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৯৬ কিলোমিটার বন্যা প্রতিরোধ বেড়ি বাঁধ রয়েছে। মেঘনার ভয়ঙ্কর থাবায় ইতিমধ্যে ৩৭ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষা না আসতে কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

ফলে হুমকির মুখে রয়েছে কমলনগর উপজেলা পরিষদ, চরফলকন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদসহ সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি,ফসলি জমিসহ নানান গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ও সম্পদ। বেড়ি বাঁধ রক্ষা ও ভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবীতে প্রতিদিনই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছে।

বিশেষ করে নতুন করে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে কমলনগর উপজেলার সাহেবেরহাট, পাটওয়ারীরহাট, চরফলকন,মাতব্বরহাট, লুধুয়া ও তালতলিসহ প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায়। মেঘনার অব্যাহত ভাঙ্গনে  লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র থেকে  বিলীন হয়ে যাচ্ছে কমলনগর উপজেলা।pn-001

গত ১০ বছরে এ  উপজেলার প্রায় অর্ধেক ভূখন্ড মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যে কারনে হাজার হাজার মানুষ ঘর বাড়ি জায়গা জমি হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেঘনার ভাঙ্গনে ঘর বাড়ি হারিয়ে বাস্তুহারা হয়েছে হাজার হাজার পরিবার। কিন্তু তাদের পূনর্বাসনের জন্য সরকারী কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

এ ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কমলনগর উপজেলার বিস্তৃর্ন এলকা সহ সকল সরকারী-বেসরকারী গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই খুব দ্রুত সরকার মেঘনার ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূনবাসনের ব্যবস্থা করবেন এমনটাই দাবী এলাকাবাসীর।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইয়ার আলী বলেছেন, ইতিমধ্যে ১শত ৬৯ কোটি টাকা ব্যায়ে সাড়ে ৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়ি বাধ ও ২শত ২০ মিটার বাধেঁর সংস্কারের কাজ চলছে,পর্যায় ক্রমে বরাদ্দ পেলে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *