Shadow

লঞ্চ ধর্মঘট ভোলার ১৫ রুট থেকে ছেড়ে যায়নি লঞ্চ ॥ যাত্রীদের দুর্ভোগ

এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা : ৪ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে ভোলার ১৫টি রুটে ধর্মঘট পালন করছে লঞ্চ শ্রমিকরা। ধর্মঘটের কারণে নৌ-পথে রাজধানী ঢাকা ও বরিশালসহ সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিপুল সংখ্যক যাত্রী ঘাটে এলেও ধর্মঘট থাকায় অনেকেই ফিরে গেছেন। কেউ কেউ ছোট ছোট ট্রলারে পার হচ্ছেন। এ সময় লঞ্চগুলো ঘাটে নোঙ্গর দিয়ে শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, মনপুরা, চরফ্যাশন ও লালমোহন থেকে ১৫টির অধিক লঞ্চ ঢাকা এবং  ভোলা-বরিশাল রুটে দুরপাল্লার ১০টি ও লক্ষ্মীপুর, আলেকজেন্ডার, কালাইয়া, ধুলিয়া, হাতিয়া ও মনপুরায় বেশ কিছু লঞ্চ চলাচল করে আসছে। নৌ-পথে সরাসারি যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হওয়ায় রাজধানীতে লঞ্চযোগেই বিপুল সংখ্য যাত্রী যাতায়াত করছেন। কিন্তু শ্রমিকদের ডাকা ৪ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে ধর্মঘাট থাকায় এসব রুট থেকে কোন লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। এতে যাত্রীরা ঘাটে এলেও শেষ পর্যন্ত ফিরে গেছে। এতে দুর্ভোগ পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
ভোলা খেয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি লঞ্চ ঘাটে নোঙ্গর দেয়া, নেই শ্রমিকদের হাকডাক আর যাত্রী নিয়ে টানা-হেচরা। যাত্রী ও শ্রমিকদের কোলাহলে মুখরিত প্রতিদিনকার সেই চিরচেনা দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। নেই কোন কোলাহল। ঢাকার উদ্দেশ্য যাত্রীরা এসে ভীড় জমালেও শেষ পর্যন্ত তারা ফিরে গেছেন।
লঞ্চ যাত্রী মনসুর, রিফাত, তুরাগ, আলামিন বলেন, কখন থেকে ধর্মঘট শুরু হয়ে তা আমরা জানিনা, কিন্তু ঘাটে এসে দেখি লঞ্চ চলছে না, বিকল্প ব্যবস্থাও নেই। তাই বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছি।
ভোলা-ঢাকা রুটের মালিক পক্ষের একাংশ কর্ণফুলির সুপারভাইজার মো: ছিদ্দিক বলেন, আমরা শ্রমিকদের দাবীর মুখে তাদের বেতন-ভাতা  ১’২শ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছি, কিন্তু তারা তারপরেও কর্মস্থলে যোগ দেইনি, কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।
কর্ণফুলি লঞ্চের শ্রমিক পক্ষের কর্ণফুলি-১১ লঞ্চের মাস্টার মো: হাসান বলেন, আমাদের পূরণ না হওয়ায় পর্যন্ত কর্মস্থলে যোগ দিবনা। যা বেতন দেয়া হয় তাতে আমাদের সংসার চলে না। এরআগে আশ্বাষ পেয়েছি ধর্মঘট তুলে নিলেও এবার দাবী পূরণ না হওয়ায় পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
এদিকে ভোলার ভেদুরিয়া ঘাটে সকাল থেকেই দেখা গেছে একই চিত্র। নেই যাত্রী। তবে জরুরী প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থায় ছোট ছোট ট্রলারযোগে উত্তাল নদী পার হয়েছেন কেউ কেউ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *