Shadow

লেখিকা নুরুন্নাহার পান্না এর ডায়েরি হতে এক গুচ্ছ কবিতা l

সোনালী সময়

“নুরুন্নাহার পান্না”

জীবন মানে মৃত্য কে ছুই ছুই ,
বাঁচার আস্থায় জেগে রই !
চাহিদা গুলো ভীষণ বড় হয়ে যায় ,
সমার্থের কাছে হার মেনে দ্বারায় !
একটা জীবনে আছে কত চাওয়া ,
দুঃখ -কষ্ট গ্লাণী কাছে ডেকে নেয়া !
তবুও দুঃখ দ্বারায় গোপনে স্বরবে ,
জোনাকিরা সুখ খুজে রাতে নিরবে !
হৃদয়ের আশানুরুপ আংশিক সুখ হবে ,
সুখের সাম্রাজে যাবে কি ? কে কবে ??
পায়নি কেউ সুখ আধো আলোয় খেলায় ,
জীবন এক রঙিন সপ্নের সাজানো মেলায় !
জীবনকে সাজাবার সোনালী সময় আসে যখন ,
অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃখ এসে দ্বারায় তখন !
অসুস্থতা সবাইকে কামরে ধরে ,

কেউ কেউ বেঁচে যায় আবার কেউ কেউ ধুকে ধুকে মরে।

দুর্বল বাহু

নুরুন্নাহার পান্না
প্রণয়ন কারী সতস্ফুর্ত বিকৃত তাগাদাবিহীন আওয়াজ তোলে,
         দুর্বলবাহু শ্রমিকের থরথর শরীর কাঁপনে বিধান চলে।
বয়স যতই হোকনা কম,বাবার সমান হয়তো হবে,
গায়ের জোরে ধমক দিয়ে স্বার্থ হাসিল বুঝে নিবে।
অলস হয়ে গাঁ ভারীতে নড়তে পারেনা মোটেও,
গরীবের সাথে দুর্ব্যবহার করছে তারা অহরহ।
গরীব ধনীর ব্যবধান কোথা থেকে দিলোকে,
আপন পরের মাঝে কাঁটা দেয়াল ধ্বংস করার পক্ত সে।
পৃথিবীতে সব মেহমান মানুষের পেটে মানুষ হলো,
সৃষ্টিকর্তার ইশারাতে জন্ম দিয়ে মৃত্যু দিল।
এতোটুকু সময় হাতে কোনটা ছেড়ে কোনটা নিবে,
আসল নকল বোঝার আগেই মন্দ কাজে লিপ্ত হবে।
কে সঠিক কে বেঠিক বুঝিনাতো রুপ দেখে,
ভুল পথে যাচ্ছি হেঁটে হচোট খেয়ে নেই শিখে।
জীবন চালায় পাল্লা দিয়ে ভুল ছিল তার চোখে,
মুখে বলে মিথ্যা কথা লুকিয়ে রাখে সত্য বুকে।

মেঘলা দিনের কাব্য

নুরুন্নাহার পান্না
মেঘলা দিনে একলা বসে লিখবো আমি কাব্য,
কাব্য লেখার জন্য আমি গভীর ভাবে ভাববো।
ভেবে ভেবে নতুন লেখা বের হয়ে আসে,
সেই লেখা পড়ে আমায় সবাই ভালোবাসে।
আকাশটা মেঘলা হোলে দেখতে দারুন লাগে,
দূর আকাশে বৃষ্টির অপেক্ষায় মেঘগুলো ভাগে।
মেঘগুলো যখন ডাকে তখন আমার ভীষণ ভালো লাগে,
প্রকৃতির এতো মনোমুগ্ধকর দেখিনিতো আগে।
মেঘলা দিনে তোমায় নিয়ে কাব্য লিখে রাখবো,
তোমাকে সেই কাব্য শোনাবো তাই সারা রাত জাগবো।
রাতজেগে কবিতা শোনিয়ে আমি ভীষণ তৃপ্তি পাবো,
মেঘলা দিনে কাব্য রচনায় আমি মুগ্ধ হয়ে যাবো ।
স্যতসেত্য শ্যাওলা পরা পথটাতে বৃষ্টি নামবে এখন,
তোমায় নিয়ে কাব্য লিখবো না তবে লিখবো আমি কখন।
বৃষ্টির ধোয়ায় শাকসবজি ও বৃক্ষ সতেজ হয়ে যায়,
বৃষ্টি এলে প্রকৃতি ও পশু প্রাণী সবাই অস্থির সুখ পায়।

এ বসন্তেও ভালোবাসি

নুরুন্নাহার পান্না
তুমি হয়তো এ বসন্তেও আমার কাছে এসে বলতে তোমাকে ভালোবাসি,
হাতে থাকতো লাল হলুদ গোলাপের তোরা।
তোমার উদারতা আমাকে অনেক অনেক কিছু শিখিয়েছে,
তোমার আদর্শে উদ্ভাসিত হয়ে আমার হৃদয় পুলকিত হয়েছে।
তুমি হয়তো লিখতে পড়তে কম তাতে কি?
কিন্তু আমার হাতে তুলে দিতে কলম।
তোমার আন্তরিকতায় আমার পথ চলা আর ও সহজ হয়ে যেত,
তোমার সাথে পথ চলে হৃদয়ে জোৎস্নার আলো ছোড়াতো।
আত্ন বিনয়ের সাথে তুমি এগিয়ে দিতে সাফল্যের দুয়ারে,
তোমার সহযোগিতায় আমার লেখাও ভেসে আসে ভাটা অথবা জোয়ারে।
তুমি যখন নিশ্চুপ হয়ে যেতে অভিমানে ও যন্ত্রনায়,
তখন আমার মস্তিষ্কে জমে যেত খরতায় বিষন্নতায়।
যে সব পথ দিয়ে তুমি হেটেঁ চলতে সেই পথগুলো আজও চলে তোমায় খুঁজতে,
চারিদিক তোমার শূণ্যতায় হালকা হয়ে আসে বাতাসের নিরবতা।
কার কি এলো গেলো জানিনা শুধু তোমার পরিবার ভেঙে হলো দুর্বলতা।

দগ্ধ হৃদয়

নুরুন্নাহার পান্না
রাত প্রায় ৪টা দুর্বল হয়ে আসছে চোখের পাতা,
ঘুম আসবে হয়তো চোখ ভোরে।
ভাবছি কেউ এসে বলতে পারতো,
ঘুমিয়ে পর অনেক রাত হয়েছে।
কেউ এসে ধমক দিয়ে হাত থেকে কলমটা ছিনিয়ে নিয়ে বলতে পারত,
এতো রাত জাগা মোটেও ভালো না।
জীবনটা গোলাকার বৃত্তে দুঃখের সাগরে আটকে গেছে চরে,
নিরব চোখ বর্ষা কালের নিয়ম মেনে চলছে দিবা রাত্রি ঘোরে।
কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টির পর সূর্যকে দেখার জন্য যেমন হৃদয় আকুতি জানায়,
তেমনই চোখগুলো অনর্গল টানা বর্ষণে নিশ্চুপ কানায় কানায়।
কেউ এসে বলতে পারত খেয়ে নাও অনেক রাত হয়েছে,
দগ্ধ হৃদয়টা যে ভীষণ কান্নায় ভেঙে পরে।
এসব কেন ভাবছি?
এসব তো রঙিন স্বপ্ন,
এসব আমার জন্য নয়।
জানিনা কখন সেই দুঃখের সাগরের চরে আটকে থাকা সুখ,
দগ্ধ হৃদয়টাকে ভালোবাসা দিয়ে ছুঁয়ে দিবে।
কেউ এসে বলতে পারতো অনেক দিন কোথাও যাও নি,
আসো একটু রিক্সায় করে ঘুরে আসি।
রাস্তা পার হওয়ার সময় হঠাৎ হাত ধরে রাস্তা পার করাতো
_ এখন এসব চোখে ভাসছে,
আসলে একাকিত্তের যন্ত্রণায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।
যখন বাক-ক্রিয়া যন্ত্র অকর্ম হয়ে যাবে তখন হয়তো,
সুখের পালকি নিয়ে কেউ এসে বলবে চোখ মুছে দেখো এইতো আমি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *