নিউজ ডেস্ক : একটা দ্বীপ গড়তে জীবনের ২৪টি বসন্ত কাটিয়ে ফেলেছেন এক শিল্পী দম্পতি। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে একজন চিত্রী রঙিন তুলির টানে যে ভাবে ক্যানভাসকে প্রাণবন্ত করে তোলেন, ভ্যাঙ্কুভার উপকূলে সে ভাবেই গড়ে উঠেছে ভাসমান দ্বীপটি। স্রষ্টা ক্যাথেরিন কিং ও ওয়েন অ্যাডমস যার নাম দিয়েছেন Freedom Cove বা স্বাধীনতার উপসাগর।
চারপাশে টলটলে জল আকাশ সীমানায় গিয়ে মিশেছে। সবচেয়ে কাছের যে শহর, জলপথে তা-ও ৪৫ মিনিটের পথ। কী নেই ছবির মতো এই দ্বীপটিতে? নাচতে চাইলে ড্যান্স ফ্লোর আছে। আছে পাঁচ-পাঁচটি গ্রিন হাউজ। আর্ট গ্যালারিলাইটহাউজ থেকে ফায়ারপিট যা প্রয়োজন, সব পাবেন।
এই চব্বিশটি বছরে না-থাকার মধ্যে আছে শুধু ফ্রিজই। শিল্পী দম্পতির চোখে নেহাত বেমানান বলেই হয়তো বা জায়গা হয়নি ফ্রিজের। পাঁচ-পাঁচটি গ্রিন হাউজে বছরভর যে ফসল ওঠে, তা খেয়েই বেঁচে থাকেন দ্বীপের মূল বাসিন্দা, এই শিল্পী দম্পতি। চাষবাসের সঙ্গে কোনও দিন ইচ্ছে হলে, টোপ ফেলে মাছও ধরতে পারেন।
যেহেতু হাতে হাতে গড়া, তাই সে অর্থে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। তেমন পরিকাঠামোও নেই। শীতে সেখানে বৃষ্টির জলই ভরসা। গ্রীষ্মে জল তুলে আনতে হয় কাছের জলপ্রপাত থেকে।
ইচ্ছে করলেও আপনি যেতে পারবেন এই দ্বীপে। তবে নিজের খেয়ালখুশিতে সেখানে যাওয়া যায় না। পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত বছরের মাত্র তিনটি মাস, জুন থেকে সেপ্টম্বর। নিরিবলি খুঁজলে যেতেই পারেন।