Shadow

জলঢাকায় জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।

মোঃমশিয়ার রহমান,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ দিনের সূর্যালোকে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা হলেই হালকা কুয়াশায় ছেয়ে যাচ্ছে চারপাশ। সারারাত গাছের পাতা নিঙ্গড়ে টিনের চালে পড়া শিশির বিন্দুর টিপটপ শব্দ জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
উত্তরের জেলা নীলফামারীর জলঢাকায় শীতের আগমনের চিত্র এটি। দিনের তাপমাত্রা অনেকটাই সহনীয় থাকলেও সন্ধ্যা হতেই তা হ্রাস পেলে মানুষ উষ্ণ গড়ম কাপড় পরিধান করছে, আর খরকুঠো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে অসহায় দারিদ্র মানুষ।
আবহাওয়া অফিস সুত্র জানায়, ডিসেম্বরে তাপ মাত্রায় কমে এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। শীতের স্বাভাবিক নিয়মে আগামীতে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস । সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশার ঘনত্ব।
এদিকে, শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ধনুকররা। আর গরম পোশাক সংগ্রহে ভ্রাম্যমাণ ও ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ভিড় করছেন সব শ্রেনীর মানুষ।
উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের দিনমজুর
মোহাম্মদ সিরাজ(৫৫) জানান, গরমের দিন আমাদের জন্য ভালো। শীত আসলেই নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। শীতবস্ত্রের অভাবে যেমন কষ্ট পেতে হয়, তেমনি এই মৌসুমে মাঠে কাজ করে রোজগার করা তাদের জন্য আরও বেশি কষ্টদায়ক।
চরভরট এলাকার আলম (৪৫)বলেন, কেবল ঠান্ডা পরির লাগছে । হামার গরমের দিনে ভালো। ঠান্ডা আসলে গরম কাপড়ের কষ্ট, কামাই (রোজগার) করি খাওয়াও কষ্টের।
উপজেলার চরাঞ্চলেও জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। রাতে হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও দিনের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক বলে জানান উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের চর ভরট এলাকার বাসিন্দা বকুল মেকার (৪৩)।
তিস্তা নদীর চরের বাসিন্দা ও পেশায় মেকানিক বকুল ( ৩৫) বলেন, ‘তাপমাত্রা অনেকটা কমে আসলেও এখন শীত পড়তে শুরু করেছে ।
রাতে চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে গেলেও ঠান্ডা ও শীত পরছে। চরের জীবযাত্রা এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। শীত মৌসুমের শুরুতে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় ডিসেম্বরে একাধিক শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। তখন তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পেয়ে জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পরার আশঙ্কা করছে প্রতিষ্ঠানটি।উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, শীত মোকাবিলায় সরকারিভাবে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।