Shadow

রামগঞ্জে দিঘী সংস্কারের নামে বালু লুটের মহোৎসব

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া দিঘী সংস্কারের অজুহাতে বড় ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু লুট করার মহোৎসব চালানোর অভিযোগ পাওয়ায় গেছে। দিঘীর পাড়ে ২০/২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,উত্তর পাড়ে মসজিদ, দক্ষিন পাড়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,পুর্ব পাড়ে পানপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের খেলার মাঠ,পুর্ব এবং উত্তর কোনা স্কুল ও কলেজ ভবন,দুই পাড়ে পাকা সড়ক অতিরিক্ত বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা গ্রামবাসী লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও প্রতিকার পাচ্ছে না।
সুত্রে জানায়,উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন আ‘লীগের সাধারন সম্পাদক তছলিম হোসেন পানপাড়া দিঘী সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি নেয়। শ্রমিক দিয়ে দিঘী সংস্কারের আদেশ হলেও তছলিম হোসেন পানপাড়া ও মজুপুর গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে ৫-১৩ মে থেকে ভেপু দিয়ে সংস্কার করে মাটি সরিয়ে নেয় এবং ১৫ মে থেকে বড় ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে রাত-দিন বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিচু জায়গা ভরাট করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১৫ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত দিঘীর বালু দিয়ে পানপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠের পুর্বে নুর হোসেন মাস্টারের জায়গাতে ২০হাজার ফুট,পাশ^বর্তি আব্দুর রহিমের জায়গাতে এক লক্ষ ফুট,মৃত সুলতান মাস্টারের জায়গাতে ৪০ হাজার ফুট,পুলিশ সদস্য জাকির হোসেনের জায়গাতে ৭০ হাজার ফুট,এনায়েত চৌধুরী পাটোয়ারী বাড়ির রাজনের জায়গাতে ৫০হাজার ফুট বালু ভরাট করা হয়েছে। এই ছাড়াও কয়েকটি জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করতে প্রস্তুত করা হয়েছে। পানপাড়া বাজার ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম,মাসুদ আলম সহ কয়েকজন সাংবাদিকদের বলেন,বড় ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে দিন-রাত বালু লুট করায় দিঘীর পাড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্যব্যক্তিদের ধারস্থ হয়ে প্রতিকার না পেয়ে গ্রামবাসী জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন করে। গ্রামবাসীর আবেদনের ভিত্তিতে লক্ষীপুর রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোঃ শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ৩কার্য দিবসে ব্যবস্থা গ্রহনের নিদের্শ প্রদান করলে নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। গ্রামবাসী বলেন,নির্বাহী অফিসার স্থান ত্যাগ করার ৩/৪ ঘন্টা পরেই বালু উত্তোলন শুরু করা হয় বিরতীহীন ভাবে। বালু উত্তোলন কাজে দায়িত্ব থাকায় নব্য আ‘লীগের কর্মী মোঃ রিপন হোসেন ও মজুপুর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মহসিন মিয়া, বলেন,আমরা সব কিছু ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করছি। দিঘী সংস্কার কাজ বাগিয়ে নেওয়ায় করপাড়া ইউপি আ‘লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ তছলিম হোসেন বলেন,আমি ৬টি জলাশয় সংস্কার টেন্ডার কাজ এনেছি। লামচর দিঘীটি স্থানীয় কিছু ব্যক্তির কারনে ঠিক মতো সংস্কার করতে পারিনি। তাই ওদের দায়িত্বে সংস্কার করা হচ্ছে। দিঘী সংস্কার করতে গিয়ে কিছু বালু লুট হওয়ার বিষয় আমি জানি না। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবীবা মীরা বলেন,লক্ষীপুর জেলা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর স্বাক্ষরিত পত্র পেয়ে সরেজমিনে প্রদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়েছি। এর পরেও কি ভাবে বালু উত্তোলন করছে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।