Shadow

লক্ষ্মীপুরে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখলের চেষ্টা। 

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ড বাঞ্চানগর গ্রামের এমদাদ আলী ডাক্তার বাড়ির আব্দুল মতিন চৌধুরীর পুত্র তিনি। জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ ঢাকায় ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছে। নাড়ির টানে পরিবার পরিজন নিয়ে মাঝে মধ্যে ছুটে আসেন দেশের বাড়িতে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাড়ির ৬নং ওয়ার্ডস্থ বাঞ্চানগর গ্রামের ০৫৯৯-০১ হোল্ডিংয়ের মধ্যে বসবাসরত ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে প্রতিপক্ষরা। প্রতিপক্ষরা হলো- শ্রীরামপুর গ্রামের দাইন উল্যা পাটওয়ারী বাড়ির আব্দুল বাতেন মাস্টারের পুত্র মোঃ সায়েদ (৪৮), সিরাজুল ইসলাম (৪৯), সমসেরাবাদ গ্রামের আবুল খায়েরের পুত্র শাখের মোঃ রাসেল (৩৮), আব্দুর রশিদের পুত্র মোঃ সফিক মিয়া (৫৫), বাঞ্চানগর গ্রামের সরোয়ার হোসেন টিটুর পুত্র সওকত আলী(২৪), মোঃ আলাউদ্দিন(২৭), আবুল কালামের পুত্র হারুন অর রশিদ, নুর মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম (৪৫), লাহারকান্দি গ্রামের আব্দুল আজিজ (৪৫), লিটন(৩৫), পূর্ব কেরোয়া গ্রামের রায়পুর উপজেলার জাফর আহম্মেদের পুত্র মেহেরাজ (৩০), স্ত্রী- মরিয়ম বেগম (৪৩), ইব্রাহিম পাটওয়ারীর পুত্র মোঃ আছিব (২৬)। নিরপায় হয়ে নাঈম হাসান আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। আইনের আশ্রয় নেওয়াতে প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে হুমকি -ধমকি দিয়ে আসছে তাকে। গত ৭ই সেপ্টেম্বর সকালে প্রতিপক্ষদেরকে উল্লেখিত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে নাঈম হাসানের ভোগদখলীয় জমিতে ভবন নির্মাণে কাজ শুরু করে। একই দিন প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (সদর) আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মতে ৫৩৩/২১ ইং মামলা করেন ভক্তভোগী। বিজ্ঞ আদালত উক্ত ভূমিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এবং সহকারী কমিশনার ভূমি সদরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা আবারও গত ১১ই সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ভুক্তভোগীর বসত ঘরের সামনে তাকে হামলা করে ঘর-বাড়ি, ভাংচুর ও গাছপালা কর্তন করে সন্ত্রাসী লেলিহান তৈরি করেন। ভুক্তভোগী হামলার শিকার হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। যাহার চিকিৎসা রেজি নং- ৬৩৯৬/৫, তাং- ১১/০৯/২১। এ নিয়ে ভুক্তভোগী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল সদর আদালত, লক্ষ্মীপুরে আবারও একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং- সি.আর- ৯১৫/২১ ইং। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই, নোয়াখালীকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। তাছাড়া প্রতিপক্ষরা মিছ ৫০৩৩/২১ইং মামলা হওয়ার পর আদালতকে অমান্য করায় (বাইলেশান) ১৮৮ ধারায় জারি হয়। অন্যদিকে গত ২৪শে সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদলত সদর লক্ষ্মীপুর আরেকটি মিছ মামলা দায়ের করেন নাঈম হাসান। যাহার মিছ মামলা নং- ১১৯/২১ইং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *