Shadow

পাহাড়ি মাল্টা চাষ হচ্ছে চিরিরবন্দরের সমতল ভূমিতে। 

মো. মিজানুর রহমান মিজান, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ পাহাড়ি অঞ্চলের মাল্টা এখন চাষ হচ্ছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের সমতল ভূমিতে। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহযোগিতায় ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বারি-১ জাতের মাল্টা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৪/৫ বছর ধরে চাষ করছেন কৃষকরা। মাল্টা চাষ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে প্রথমে কিছুটা হতাশা কাজ করলেও ফলন ভালো হওয়ায় তাদের হতাশা কেটে যায়। দূর-দূরান্ত থেকে মাল্টা বাগান ও গাছ দেখতে ছুঁটে আসছে মানুষ। এসব মাল্টা গাছ ও বাগান অনেককেই অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে মাল্টা চাষে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের রাসেলের বাগানে দৃষ্টি নন্দন মাল্টা ধরেছে। গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে ডালে ঝুলছে থোকায় থোকায় মাল্টা। বাতাসে মাল্টার টক-মিষ্টির গন্ধ। ২০১৭ সালে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা মাল্টা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম শুরু করে। দ্বিতীয় শস্য বহুমুখী প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বারি-১ জাতের মাল্টা গাছ সরবরাহ করা হয়। উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের উত্তর নশরতপুর গ্রামের কৃষক আহসান হাবিব ওরফে রাসেল মাল্টার বাগান করে সফলতাও পেয়েছেন। তিনি ৩৩ শতক জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন। এতে ৭২টি গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে এখন ঝুলছে মাল্টা। গাঢ় সবুজ রঙের মাল্টাগুলোর কোনটিতে হলুদ রঙ এসেছে। বাগানের প্রতিটি গাছ থেকে ১৫-২০ কেজি মাল্টা পাওয়া যায়। গত বছর তিনি তার বাগান থেকে অন্তত ৫০-৬০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। এ বছর তিনি অন্তত এক লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করবেন বলে আশাপোষণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, পরিপক্ক মাল্টা খেতেও খুবই রসালো মিষ্টি। বর্তমানে তার জমির প্রতিটি গাছেই ফল ধরেছে। তার সাফল্য দেখে অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তার দেখানো পথ ধরে মাল্টা চাষ করেছেন একই গ্রামের ফিরোজ আহম্মেদ। তিনি ২৫ শতক জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন। তার গাছেও ফল ধরেছে। উপজেলার ঈসবপুর ইউনিয়নের ব্যাঙ্গের কাদো গ্রামের মো. মাজেদুল ইসলাম এবং ফতেজংপুর ইউনিয়নে মো. আব্দুল জলিল মাল্টা চাষ করছেন। কৃষক রাসেল শুধু মাল্টাই চাষ করছেন তা নয়। মাল্টার পাশাপাশি তিনি ৩৫ শতক জমিতে কমলার বাগানও করেছেন। তাঁর কমলার বাগানে ১২০টি কমলার গাছ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *