আমরা উন্নয়নশীল দেশে বাস করি। আমাদের লাইফ স্টাইল তুলনামূলক ভাবে অস্বাস্থ্যকর এবং অপরিকল্পিত। তাছাড়া আমাদের দেশের আইন-নিয়ম নীতি যথেষ্ট প্রশ্ন বিদ্ধ। সব বাঁধা পেরিয়ে আমরা উন্নয়ের দিকে যেতে চাচ্ছি। ফলে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে সবখানে। আর এখানেও বিপত্তি,আমাদের অতি আবেগি মন বা অজ্ঞতা আমাদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলছে। আজকের আলোচনার বিষয় এমনি এক প্রযুক্তি যা অতিব্যাবহার, অপব্যাবহার এ জীবনের ঝুঁকি রয়েছে,চলুন গভীরে যাওয়া যাক।
বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যাবহারের সহজ এবং খরচ কমের প্রধান উৎস হলো ওয়াইফাই । ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিভ রেডিয়েশন ছাড়তে থাকে ওয়াইফাই রাউটার। তরঙ্গ চলাচল –> ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড–> ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন । সারাদিনই থেকে যাওয়া ওয়াইফাই রেডিয়েশন আমাদের জীবনে কি কি ভয়ংকর ক্ষতি করতে পারে তার একটা চার্ট দেয়া হলোঃ
- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
- মাথা ঘোরা ও মাথা ব্যাথা
- অমনোযোগিতা
- হজমে সমস্যা
- উদ্বেগ বা বিষণ্নতা
- অত্যধিক ক্লান্তি
- শুক্রাণু প্রতিহত করে পুরুষত্ব বিলীন করে।
- মস্তিষ্কের কাজে বাধা দেয়।
- ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে।
- কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
- চোখের দৃষ্টি ঘোলা
- স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি
- হৃদরোগ
সম্প্রতি ডেনমার্কে একটি গবেষণা হয়েছে। ড্যানিশ ছাত্র 400 টা বীজ নিয়ে পরীক্ষা করে এবং দুই কক্ষের মধ্যে তাদের বিভক্ত করে। এক কক্ষে ২০০ টি আর অন্য কক্ষে ২০০ টি বীজ রখা হয়। প্রথম কক্ষে একটি ভাল ইন্টারনেট যুক্ত একটি ওয়াইফাই স্থাপন করে। কিন্তু কিছু দিন পর দেখা গেলো, ইন্টারনেট যুক্ত ওয়াইফাই কক্ষের বীজগুলা অঙ্কুরোদগম হয় নি অপর পক্ষে ২য় রুমের বীজগুলা স্বাভাবিক ভাবে অঙ্কুরোদগম হয়েছিলো।
তাই অপ্রয়োজনীয় কারণে রাউটার ও ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক থেকে দূরে থাকতে হবে।