আমজাদ হোসেন আমু,কমলনগর (লক্ষ্মীপুর): “ঈদ মানে হাঁসি,ঈদ মানে খুশি” মুসলমান সম্প্রাদায়ের মিলনমেলা হচ্ছে ঈদ । এটাকে ঘিরে সব শ্রেণি পেশার মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পন্য সমাগ্রী ক্রয় করছেন।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বৃহৎ হাজির হাট বাজার। শত বছরের ঐতিহাসিক এবং উপজেলার বৃহৎ বাজার এটি। হরেক রকম কাপড় আর কসমেটিকসে ঈদের কেনাকাটায়
ভীড় জমেছে এ বাজারটি। প্রতিনিয়ত জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রমযানের দশ থেকে বাজারে ক্রেতা ভিড় দেখা যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায় , আল ছৈয়দ এবং ক্লোথ স্টোর,ওহাব বস্ত্রালয়, আল্লাহ দান, ভাই ভাই বস্ত্রালয়,দুবাই ফ্যাশন, শাড়ি ঘরসহ বেশ কিছু কাপড় এবংকসমেটিকস দোকানে ক্রেতা ভিড় প্রচুর। ক্রেতা ভিড়ে জায়গা পাওয়া দুর্বিহসহ। কাপড় পল্লীতে সকাল ১১.০০ টা থেকে দুপুর ২.০০ পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকে। প্রতিটি দোকানদার ক্রেতা ভিড়ে ব্যস্ত থাকে। নিঃশ্বাস পেলতে সময় পারচ্ছে না,এমনটাই প্রতিয়মান।
হাজির হাট বাজার ব্যবসায়ী ও বনিক সমিতির সভাপতি হাজ্বি আয়ুব আলী জানান, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার ঈদে কেনা বেচা খুব বেশি এবং ভালো। ক্রেতারা ন্যায্য মূল্যে হাঁসি খুশি মনে ঈদ সামগ্রী কেনাকাটা করছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবার ক্রেতাদের সামর্থ্যের মধ্যে পণ্যদ্রব্য ক্রয় করতে পারছে । সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচুর ক্রেতার ভিড় থাকে।
তিনি আরও জানান, এবার বাজারে কাপড় ও কসমেটিকস ব্যবসায়ীরা তাদের সুধিবা মত দাম পাচ্ছেন। এবং ক্রেতা তার দামের মধ্যে পণ্য পাচ্ছেন। গত কয়েক বছরের বেচা কেনাকে এবার ছাড়িয়ে গেছে। এবার ক্রেতা বিক্রেতার চাহিদা মতে পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন দোকানে দেখা যায়, নারীর কাপড় ছাড়া মেয়েদের পণ্য বেশি দেখাচ্ছে। পণ্যের মধ্যে রাউন্ড ( গোল) জামাটা উঠতি বয়সি মেয়েরা বেশি পছন্দ করছেন। অন্যান্য জামার মধ্যে এ জামাটা বেশি চলছে। ক্রেতা এগার,শ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে এটি ক্রয় করতে পারছেন।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,বাজারে ঈদের জামা কাপড়ের মূল্য চাহিদা অনুযায়ী সামার্থ্যের মধ্যে রয়েছে। ঈদ কালেকশন অনেকটাই পছন্দনীয় পর্যায়ে রয়েছে। মেয়েদের জামা এবং নারীর বাহারী রংয়ের শাড়ী গুলো চাহিদা মতে কেনা যাচ্চে। যদিও রমযানের প্রথমে দাম একটু বেশি ছিল। এখন দাম অনেকটাই সীমিত পর্যায়ে বিদ্যমান হওয়াতে কেনা কাটা করা যাচ্ছে। তবে প্রতি বছরের ন্যায় এবার ঈদ কালেশন পছন্দনীয়।