Shadow

একজন নিষ্ঠাবান সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার বিজ্ঞান), মিজানুর রহমান।

রাকিব হাসান, মাদারীপুর। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর গ্রন্থাগার হলো শিক্ষাব্যবস্থার হৃৎপিন্ড। একজন গ্রন্থাগার পেশাজীবী পরিচালকের ভূমিকায় থেকে সব বিষয়ে জ্ঞান আহরন, সংরক্ষণ ও বিতরণে নিয়োজিত থাকেন। পাশাপাশি একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের ভূমিকায় শিক্ষক। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ছাত্রছাত্রীদের আলাদা আলাদা বিষয়ে শিক্ষা দেন। একইভাবে ওই একই প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার পেশাজীবী গ্রন্থাগারে একই ধরণের কাজ করেন। সুতরাং গ্রন্থাগার পেশাজীবী ও শিক্ষক একে অন্যের সহযোগী ও পরিপূরক।তেমনি একজন
মোঃ মিজানুর রহমান কালিনগর ফাসিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক হিসেবে কর্মরত আছে। বয়সে তরুণ এবং সুঠাম দেহের অধিকারী হওয়ায় বিদ্যালয়ের যে কোন কাজে পারদর্শী । ইতিমধ্যে তিনি তার কাজের প্রমান দিয়েছেন কর্মদক্ষতার মাধ্যমে। প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার টি নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছিলো তিনি আপন সৃজনশীল চিন্তাভাবনায় সুন্দর ও পাঠ্যমূখি করে গ্রন্থাগারটি সাজিয়েছেন। প্রত্যেক লেখকের বই আলাদা করে নির্দিষ্ট স্হানে রেখেছেন যাতে সকল শিক্ষার্থীরা অতি তাড়াতাড়ি খুজে পায়। গ্রন্থাগারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীদের নিকট আকর্ষণীয় ও গুণী শিক্ষক হিসেবে ব্যাপক সারা ফেলেছেন।বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর  মাঝে শিক্ষার আলো গুনীমান্যি হয়ে ফেলেছেন মিজানুর রহমান। বিদ্যালয়ে যোগদানকৃত হওয়ার পর থেকে তার সৃজনশীলতা বুদ্ধি ও জ্ঞান দিয়ে পাঠদান  করে হয়েছেন  সকল ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের কাছে সম্মানের প্রতীক । গ্রন্থাগারের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। বইগুলো রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি সচেষ্ট। মাঝে মধ্যে বইগুলো রোদে দেন৷ যাতে পোকা না ধরে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীরা যাতে পাঠ্যবইয়ের বাইরের বইগুলো পড়তে উৎসাহী হয় সে ব্যপারে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয় শ্রেণি পাঠদানে তিনি হিসাব বিজ্ঞান ও ফিন্যান্স শিক্ষক হিসেবে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে এবং তার কাছ থেকে আরো সেবা প্রত্যাশা করে।
কালিনগর ফাসিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাফ হোসেন কিরন বলেন,মিজানুর রহমান আমাদের স্কুলে যোগদান করার পর থেকে এ যেন নতুন সূর্য উঠলো সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে। শিক্ষার আলো উদিত হলো ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে উঠল।বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আলোকিত এক প্রতীক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *